জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য রাখাল রাহার উল্লেখ্য (সাজ্জাদুর রহমান) তার প্রকৃত নাম বিরুদ্ধে আল্লাহর নামে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ আলেমরা।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১৫০ জন বিশিষ্ট আলেম রাখাল রাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, রাখাল রাহা সম্প্রতি ফেসবুকে মহান আল্লাহ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যা পরে সমালোচনার মুখে তার ফেসবুক পোস্টটি মুছে ফেলেন। তবে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, পরিস্থিতির চাপে পোস্টটি মুছে ফেলেছেন। আলেমদের মতে, এই মন্তব্য দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধে আঘাত হেনেছে এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
তারা আরও বলেন, এ ধরনের বক্তব্য শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি পরিকল্পিতভাবে সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি ও জাতীয় স্থিতিশীলতা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা এটিকে ধর্মীয় বিভাজন উসকে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবেও দেখছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অতীতে শিক্ষাক্রম সংশোধনের সময় রাখাল রাহা বিতর্কিত পরিবর্তন এনেছেন, যা ইসলামী সংস্কৃতি ও জাতীয় মূল্যবোধের অবমাননা করেছে। নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বইতে ‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি সংযোজনের বিষয়টিও বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল।
আলেম সমাজ সরকারের কাছে রাখাল রাহাকে এনসিটিবির সংশোধন কমিটি থেকে অবিলম্বে অপসারণ এবং প্রচলিত আইনের আওতায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তারা আরও বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন আল্লামা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী, প্রফেসর ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, মুফতি মুহা. কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা লিয়াকত আলী, ড. খলিলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ সহ আরও অনেকে।