অধিভুক্ত টেক্সটাইল কলেজের সংকট সমাধানে ধীর গতিতে বুটেক্স - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক কুবির তিন শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সে পুরস্কার জয়ী রাজবাড়ীর কালুখালীর গুণী সংগীতশিল্পী জাহিদ হাসানের মৃত্যু

অধিভুক্ত টেক্সটাইল কলেজের সংকট সমাধানে ধীর গতিতে বুটেক্স

বুটেক্স প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪০ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) অধিভুক্ত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে বছরের পর বছর ধরে শিক্ষক সংকট, ল্যাব সরঞ্জামের অচলাবস্থা ও অতিরিক্ত ফি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী এই সংকটে বাড়ছে শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা।

দেশের মোট ১০টি সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রায় একই ধরনের সংকট বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, পরীক্ষার রুটিন যথাসময়ে প্রকাশ হয় না, ফলাফল দিতে দেরি হয় এবং সেমিস্টার ও রিটেক ফি শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত বোঝা হয়ে যাচ্ছে। এতে পড়াশোনার পাশাপাশি যথাসময়ে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এসব সমস্যা নিরসনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার আন্দোলন ও বিক্ষোভ করেছে। সম্প্রতি বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সাত দফা দাবিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল, ক্যাম্পাসে তালা ঝুলিয়ে ‘অল শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন এবং বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। একই দাবিতে জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে অংশ নেয়। ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে কয়েকদিন ধরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছিলেন তারা।

বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, “আমাদের কলেজে মাত্র দশজন স্থায়ী শিক্ষক আছে। বেশিরভাগ ক্লাস অতিথি শিক্ষকের মাধ্যমে চলে, যা যথেষ্ট নয়। কলেজের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ হয় না। সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। আমরা বারবার দাবি জানিয়েও সমাধান পাচ্ছি না।”

এছাড়াও রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইয়ার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. নাছিম উদ্দিন বলেন, “আমাদের কলেজে ৬০ জন শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও আছেন মাত্র ১৩ জন। এর মধ্যে কেবল ৩ জন বিএসসি ডিগ্রিধারী, বাকিরা ডিপ্লোমাধারী। পাশাপাশি গবেষণা ও উচ্চশিক্ষারও যথেষ্ট সুযোগ নেই।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ইয়ার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও কলেজ পরিদর্শক ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে বুটেক্সের অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে ১০টি। এসব কলেজে দ্বৈত প্রশাসন চলছে। অর্থাৎ, একাডেমিক কার্যক্রম যেমন ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল বুটেক্স তদারকি করে, আর প্রশাসনিক ও শিক্ষক নিয়োগসহ বাজেট বরাদ্দ সম্পূর্ণ বস্ত্র মন্ত্রণালয় ও পিএসসির অধীনে।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ কিংবা বাজেট ব্যবস্থাপনায় বুটেক্সের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দ্রুত রেজাল্ট প্রকাশ করেছি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মার্কশিট প্রদানের কাজ সম্পন্ন করা হবে।”

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT