আজ, ২৭ আগস্ট ২০২৫, বুধবার, রাজধানী ঢাকার শাহবাগ মোড়ে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তাদের মূল দাবি—ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার বন্ধ করা, নবম ও দশম গ্রেডে তাদের জন্য সংরক্ষিত কোটা বাতিল, এবং বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। এই দাবিতে তারা ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে পৌঁছান এবং সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তারা ‘কোটা না, মেধা চাই’ ও ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’—এমন স্লোগান দেন। শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যবহার করে। কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থীরা মিন্টো রোড থেকে শাহবাগের দিকে ফিরে যান। পরে, তারা শাহবাগ মোড় থেকে পারিবাগ মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো:
১. নবম গ্রেডে ৩৩ শতাংশ কোটা রয়েছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের জন্য। সেই কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে এ পদে নিয়োগ দিতে হবে।
২. ১০ম গ্রেডে ১০০ শতাংশ কোটা রয়েছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার জন্য, তা বাতিল করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করা যাবে না। অন্যথায় এই পদবি ব্যবহার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আজ দুপুর ১টার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আলটিমেটাম দিয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে তারা ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল।
পুলিশি অভিযানের পর দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিন্টো রোড থেকে সরে গিয়ে শাহবাগের দিকে অবস্থান নিতে থাকেন। প্রায় ২টা ২০ মিনিটে পুলিশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ধাওয়া দিয়ে পরিবাগ মোড়ের দিকে নিয়ে যায়।
এর আগে ২৫ আগস্ট ‘ব্লকেড অফ ইঞ্জিনিয়ার্স’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে গতকাল (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এ সময় বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকনকে হত্যার হুমকি প্রাদান করার প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা।