বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নিবন্ধন স্থগিত হওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত এই নৌকা প্রতীকটি গতকাল পর্যন্ত ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান থাকলেও আজ হঠাৎ করে তা আর দেখা যায়নি। এই প্রতীক সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করে তিনি লিখেছেন, “অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউল ভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন?” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণঅভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদেরকে দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা?”
এর আগে সরকারি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সামাজিক মাধ্যমে একটি তীব্র সমালোচনামূলক পোস্ট দেন। মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউল ভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন?”
তিনি অভিযোগ করেন, “সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণঅভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদেরকে দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা?”
এই পোস্ট প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বুধবার সকালেই লক্ষ্য করা যায়, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকা থেকে ‘নৌকা’ প্রতীক সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, সরকারে থেকেই উপদেষ্টা কাকে উদ্দেশ করে এমন প্রশ্ন করলেন? জবাবে ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে আসিফ মাহমুদ জানান, “আমি সরকারে বসে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্ন করছি। নির্বাচন কমিশন সরকারি প্রতিষ্ঠান না। নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করার এখতিয়ার সরকারের একজন উপদেষ্টার নাই। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে প্রশ্ন করছি।”
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশোধিত বিধিমালার খসড়া ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই তালিকায় নিবন্ধন স্থগিত আওয়ামী লীগের প্রতীক ‘নৌকা’ও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছিল।