অর্থ সংকটে ডুবে থাকা পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণে সরকারের সম্মতি - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
স্কটল্যান্ড ফোরামের আলোচনা সভায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জনিয়েছেন ইবিএফসিআই প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি তাসার উদ্দিন এমবিই কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মা নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের ‘হত্যা’র বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন শেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে হিফজ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সাজিদ হত্যার বিচার ও ২৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে ইবিতে মানববন্ধন অর্থ সংকটে ডুবে থাকা পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণে সরকারের সম্মতি ডাকসু নির্বাচনে তাকির পাশে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ ইবি ক্যাফেটেরিয়ায় পর্দানশীন নারীদের জন্য বিশেষ কর্নার চালু প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে সুপার ব্লাড মুন

অর্থ সংকটে ডুবে থাকা পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণে সরকারের সম্মতি

সাবাস বাংলাদেশ ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১০ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশে আর্থিক সংকটে পড়া পাঁচ ইসলামি ধারার ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগে সরকারের অনুমোদন মিলেছে। রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, একীভূত ব্যাংকের জন্য ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকার ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা দেবে, আমানত বিমা ট্রাস্ট ফান্ড থেকে আসবে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, আর বাকি সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার আমানতকে শেয়ারে রূপান্তর করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যায়নে দেখা গেছে, এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪৮ থেকে ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবে একীভূতকরণের আলোচনায় অংশ নেওয়া পাঁচটির মধ্যে তিনটি—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী—একমত হয়েছে। এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সময় চেয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ পাঁচ ব্যাংকের মোট আমানত ক্রমশ কমে গত মে মাসে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকায়, যেখানে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ৭৭ শতাংশ। ফলে ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে ঘাটতি তৈরি হয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।

অতিরিক্ত তারল্য সংকটে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার নিয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, একীভূতকরণ ছাড়া এসব ব্যাংকের সামনে কোনো বিকল্প পথ নেই।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT