কাতার ও সৌদি আরবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান সংঘাত ‘আপাতত সময়ের জন্য’ থামানো হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। রবিবার ১২ অক্টোবর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, শনিবার রাতেই তারা সামরিক লক্ষ্য অর্জন করেছেন এবং মিত্র দেশগুলোর অনুরোধে যুদ্ধবিরতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের সঙ্গে আফগানিস্তানের কোনো সমস্যা নেই, কারণ অধিকাংশ মানুষ শান্তিপ্রিয় এবং সুসম্পর্ক চান। তবে পাকিস্তান যদি শান্তি না চায়, আফগানিস্তানের হাতে বিকল্প পথও রয়েছে।
শনিবার রাতভর আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে উভয় দেশ ভিন্ন দাবি করেছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের ২৩ জন সেনা নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছে। একই সঙ্গে তারা দাবি করেছে, পাল্টা অভিযানে তালেবান এবং সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর দুই শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছে। অপরদিকে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, তাদের হামলায় ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে এবং আফগানিস্তানের অন্তত ৯ সেনা প্রাণ হারিয়েছে। এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সংঘাতের পরপরই পাকিস্তান তুর্কহাম, চমানসহ কয়েকটি প্রধান সীমান্তপথ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। বাণিজ্য ও জনসাধারণের চলাচল ব্যাহত হয়েছে এবং সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাতার ও সৌদি আরব উভয় দেশই পরিস্থিতি শান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে এবং কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), দুরান্ড লাইন ইস্যু এবং সীমান্ত গোয়েন্দা উত্তেজনার কারণে দুই দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েনের মধ্যে রয়েছে।