
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামির দুই সহযোগীকে ভারতে আটক করা হয়েছে। রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ মেঘালয়ে পালিয়ে গেলেও ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় তার দুই সহযোগীকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেঘালয় পুলিশ এ গ্রেপ্তার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বলে জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ফয়সালের বাবা-মা, স্ত্রী, শ্যালক, বান্ধবীসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি আরও জানান, অভিযানে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৫২ রাউন্ড গুলি, একটি মোটরসাইকেল, ভুয়া নম্বর প্লেট এবং ৫৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে প্রায় ২১৮ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ফয়সালসহ আরও একজন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়েছে। মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দেওয়া হবে এবং আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে চার্জশিট দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো হয়। মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলে আসা ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার এক সহযোগী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।