
চান্দিনা উপজেলার জামিরা পাড়ায় মাকসুদা বেগম নামে এক নারীকে অমানবিক নির্যাতন করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখেছেন তাঁর ভাশুরের পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চান্দিনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁর ভাশুর তারিফুল ইসলাম (চারু), তার স্ত্রী ফারজানা, মা কুলসুমা বেগম এবং ভাই আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) তুচ্ছএক ঘটনার জেরে তারিফুলের নেতৃত্বে তার মা ও স্ত্রী মিলে মাকসুদা বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন। অভিযোগে বলা হয়, তারিফ মাকসুদাকে লাথি, ঘুষি ও চুল ধরে গাছের সঙ্গে আঘাত করেন। অতিরিক্ত মারধরের ফলে তিনি ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তারিফ হাতে দা নিয়ে তাকে জবাই করার চেষ্টা করেন; তবে স্থানীয়দের বাধায় বড় ধরনের বিপদ এড়ানো যায়।
ভুক্তভোগী জানান, এর আগেও অন্তত তিনবার তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে অভিযুক্তরা। তাদের শক্তির মূল উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তারিফের বোন ফারজানা আখতার পলিকে, যিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিটে কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর প্রভাব খাটিয়েই পরিবারের সদস্যরা জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে বারবার হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ মাকসুদার।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ফারজানার মেজো ভাই আরিফ (কালু) প্রায়ই হুমকি দিয়ে বলেন—“স্বেচ্ছায় বাড়ি না ছাড়লে প্রয়োজন হলে মেরে ফেলব; যা হবে, আমার বোন দেখবে।” ফারজানা নাকি তার পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন, “সমস্যা নেই, যা হবে আমি স্যারের মাধ্যমে হ্যান্ডেল করে নেব।”
ভুক্তভোগীর ছেলে ও মেয়ে পড়ালেখার কারণে চট্টগ্রামে থাকেন; ফলে মাকসুদা বেগমকে বাড়িতে একাই থাকতে হয়। এই সুযোগে এর আগেও মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তাঁকে এবং তাঁর মেয়েকে মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।