
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুলাই বিপ্লববিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন— মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজেদুল হক এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে পৃথক ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে দেখা যায়— ‘শিক্ষকের সম্মান ফিরিয়ে দাও’, ‘আমার শিক্ষক বহিষ্কার, এটা কি সংস্কার’, ‘আমার শিক্ষককে ক্লাসে চাই’, ‘সাময়িক বরখাস্ত বাতিল চাই’, ‘We Need Our Teacher Back’, ‘Education Needs Teacher, not Punishment’, ‘নিরপেক্ষ তদন্ত চাই, মিথ্যার বিরুদ্ধে স্বচ্ছতা চাই’, ‘৪ আগস্ট স্যার ক্যাম্পাসে ছিলেন না’— ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তদন্ত প্রক্রিয়াটি পক্ষপাতদুষ্ট ছিল, তাই শাস্তির পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কোন অপরাধের ভিত্তিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সেটি প্রশাসনের উন্মুক্ত করা উচিত। তারা অভিযোগ করেন, ওই দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করলে বিভাগগুলো সেশনজটে পড়বে। তাছাড়া, তখন আওয়ামী লীগ বৈধ দল হিসেবে ছিল— তাই এ সিদ্ধান্ত অন্যায্য বলেও দাবি করেন তারা।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা শুনেছি স্যারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী অভিযোগ, তা জানানো হয়নি। প্রশাসন যদি প্রমাণ করতে পারে যে তিনি কোনো গুম, খুন বা আন্দোলন দমনে জড়িত ছিলেন, তাহলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করব এবং শাস্তিকে সমর্থন জানাব।”
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই আন্দোলনবিরোধী অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক ও ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তাদের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।