কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১০ বিঘা রোপা আমন ফসল ও ১ বিঘা কালাই ক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল মান্নান এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ অক্টোবর) উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে।
অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় ইব্রাহিম আলী মাস্টার গংদের সঙ্গে মৃত লোকমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের পরিবারের ১১ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। চলতি আমন মৌসুমে মান্নান তার দখলভুক্ত জমিতে রোপা আমন চাষ করেন। ধান প্রায় পাকতে শুরু করেছিল। এ সময় মঙ্গলবার সকালে রুবেল, কামরুজ্জামান, ইব্রাহিম, হাবিবুর, আ. হাই, কুদ্দুছ, ছালাম ও শওকতসহ ৩০-৪০ জন লাঠি-শোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমি জবরদখলের চেষ্টা করে এবং ট্রাক্টর দিয়ে ফসল নষ্ট করে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, এই জমি নিয়ে বিরোধ বহুদিনের। তবে এবার ধান আসা ফসল ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করা মানবিকতার চরম লঙ্ঘন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক ও মাসাদুল ইসলাম জানান, মোট ১০ বিঘা জমিতে আমন এবং ১ বিঘায় কালাই চাষ করেছিলেন তারা। কয়েক দিনের মধ্যে ধান ঘরে তোলার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাক্টর দিয়ে সব ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম আলী মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল জব্বার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”