নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র আল-কুরআন অবমাননার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
দুপুর একটার দিকে পকেট গেট এলাকায় শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। পরে মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে প্রধান ফটকে এসে অবস্থান নেয়। “আল্লাহু আকবার”, “ইসলাম আমাদের প্রাণ”, “আল-কুরআনের অপমানকারীর ফাঁসি চাই”— এসব স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কয়েকজন শিক্ষকও এ প্রতিবাদে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদ সরকার বলেন, “দেশে ইসলামবিরোধী মনোভাব ছড়ানোর এক সংগঠিত প্রচেষ্টা চলছে। এ ধরনের অপরাধের কঠোর বিচার না হলে সাধারণ মানুষই রাস্তায় নামবে। সরকারের উচিত এখনই দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।”
তিনি আরও বলেন, “যারা ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি— এই দেশে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি সহ্য করা হবে না।”
৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল হাজ্জে বলেন, “আল-কুরআন শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয়, এটি সমগ্র মানবজাতির পথনির্দেশক। একে অবমাননা করা চরম অপরাধ, যার শাস্তি কঠোর হওয়াই উচিত।”
অন্যদিকে, ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ওসমান মাহদী বলেন, “ভিডিওতে যা দেখা গেছে, তা কোনোভাবেই সহ্যযোগ্য নয়। কিছু গণমাধ্যম অপরাধীকে মানসিকভাবে অসুস্থ দেখিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে— যা আরও অপমানজনক।”
শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ঘটনায় কেবল বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পুরো জাতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তারা দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে না পারে।