ইন্দোনেশিয়ায় নামাজ চলাকালীন স্কুল ধসে নিহত কমপক্ষে ৩, ধ্বংসস্তূপে আটকা বহু শিক্ষার্থী - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক কুবির তিন শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সে পুরস্কার জয়ী রাজবাড়ীর কালুখালীর গুণী সংগীতশিল্পী জাহিদ হাসানের মৃত্যু

ইন্দোনেশিয়ায় নামাজ চলাকালীন স্কুল ধসে নিহত কমপক্ষে ৩, ধ্বংসস্তূপে আটকা বহু শিক্ষার্থী

আন্তর্জাাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৮ বার দেখা হয়েছে

পূর্ব জাভার সিদোয়ারজোতে নামাজ চলাকালীন মুহূর্তেই ভবন ধসে পড়ে; আহত ৭৭ জন হাসপাতালে, আটকা ৩৮ জনকে উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ভবন ধসে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিদোয়ারজো শহরের আল খোজিনী ইসলামিক স্কুলে জোহরের নামাজের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে আটকা ৩৮ জনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, অন্তত ৯১ জন বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। আহত ৭৭ জনকে স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে। সেনা, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা রাতভর মাটি ও কংক্রিট সরিয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। আটকে পড়া ব্যক্তিদের কাছে অক্সিজেন ও পানি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নামাজ চলাকালীন ভবন কেঁপে ওঠে এবং মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে। বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, মেয়েরা ভবনের অন্য অংশে নামাজ পড়ছিলেন বলে তারা বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। আহতদের মধ্যে অনেকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ধ্বংসস্তূপ থেকে একজন আহত শিক্ষার্থীকে বের করার সময় পরিবারের কান্না ও হাহাকার চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্বজনরা হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করছেন প্রিয়জনের খোঁজে।

পুলিশের মুখপাত্র জুলেস আব্রাহাম আবাস্ত জানান, ভবনটিতে অনুমতি ছাড়া সম্প্রসারণ কাজ চলছিল এবং অতিরিক্ত বোঝা পুরোনো ভিত্তি সইতে না পেরে ধস নামে। ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হলেও ধ্বংসস্তূপ অনিরাপদ থাকায় মাঝেমধ্যে অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে এবং ভবনের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT