সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার নয়টি দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে—এমন খবর ভুয়া বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার সারাদিন অনলাইন সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, ক্যামেরুন, সুদান ও উগান্ডার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের মেয়াদ বাড়িয়েছে ইউএই। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ নতুন নির্দেশনা দিয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, এসব প্রতিবেদনের ভিত্তি একটি বেসরকারি ভিসা প্রক্রিয়াজনক ওয়েবসাইট ‘ইউএইভিসা অনলাইন’। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেখানে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দাবি করা হয়, অভিবাসন সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে নয়টি দেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, “আমিরাত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি। বরং এটি ভিসা সেন্টারের নিজেদের একটি বিদ্বেষপূর্ণ অপচেষ্টা হতে পারে।”
তিনি জানান, ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর আমিরাতে সরকারি ছুটি থাকায় দূতাবাস কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ২২ সেপ্টেম্বর অফিস খুললে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করা হবে।
প্রেস উইং আরও জানায়, বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার দাবিটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং একটি বেসরকারি ওয়েবসাইট থেকে উদ্ভূত। যাচাই-বাছাই ছাড়াই কিছু সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করায় প্রবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
সরকারি দফতরগুলো নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে ভিসা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য কেবলমাত্র দূতাবাস, কনসুলেট ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল ঘোষণার ওপর নির্ভর করতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা বেসরকারি ওয়েবসাইটের যাচাইবিহীন তথ্য অনুসরণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।