বাগরাম ঘাঁটি ফেরত না দিলে ‘খারাপ কিছু’ হবে: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তালেবানের কড়া প্রত্যাখ্যান - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি আবেদন শুরু ২৯ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল সেবার সময় রাত ৮টা পর্যন্ত বাড়ানো হলো রাবিতে নবীনবরণ: শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে যুক্তি ও শৃঙ্খলার আহ্বান উপাচার্যের জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন

বাগরাম ঘাঁটি ফেরত না দিলে ‘খারাপ কিছু’ হবে: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, তালেবানের কড়া প্রত্যাখ্যান

আন্তর্জাাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৯ বার দেখা হয়েছে

আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন তীব্র; ২০০১-২০২১ পর্যন্ত মার্কিন দখলে থাকা কৌশলগত বিমান ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, আফগানিস্তান যদি বাগরাম বিমান ঘাঁটি ফেরত না দেয় তবে “খারাপ কিছু” ঘটতে চলেছে। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া বার্তায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, বাগরাম ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে প্রচেষ্টা চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, চীনের কৌশলগত অবস্থানের কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও কোনো বিনিময় ছাড়াই মার্কিন সেনারা ঘাঁটিটি ছেড়ে গেছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে এই ঘাঁটি স্থাপন করেছিল। দুই দশক ধরে এটি ছিল মার্কিন সামরিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর সেনা প্রত্যাহারকালে বাগরাম ছাড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। ওই বছরের ৩০ আগস্ট কাবুল ছেড়ে মার্কিন সেনাদের শেষ দল বেরিয়ে যায়।

শনিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে যখন প্রশ্ন করা হয় ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে সেনা পাঠানো হবে কিনা—তিনি সরাসরি উত্তর দেননি। বলেন, “এটা নিয়ে এখন আমরা কথা বলব না।” তবে যোগ করেন, “আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা ওই ঘাঁটি ফেরত চাই, খুব শিগগিরই চাই। যদি না দেয়, তবে আমি কী করব সেটা সবাই দেখবে।”

File:Aerial view of Bagram Air Base.jpg - Wikimedia Commons

অন্যদিকে তালেবান সরকার ওয়াশিংটনের পরিকল্পনাকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাকির জালালি সামাজিক মাধ্যমে জানান, মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে আলোচনায় বসতে কাবুল প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রস্তুত। কিন্তু আফগান মাটিতে বিদেশি সেনা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।”

বিশ্লেষকদের মতে, বাগরাম ঘাঁটি কেবল একটি সামরিক বিমানঘাঁটি নয়—বরং গোটা অঞ্চলের জন্য কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। এটি পুনরুদ্ধার করতে গেলে বড় ধরনের সামরিক উপস্থিতি, প্রতিরক্ষা ও সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিক্রিয়ায় নতুন ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT