সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশসহ নয়টি দেশের নাগরিকদের জন্য পর্যটন, কাজ এবং ব্যবসায়িক ভিসা ইস্যু অস্থায়ীভাবে স্থগিত করেছে। দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ঘোষণামতে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে।
এই নীতি প্রযোজ্য হবে নিম্নলিখিত নয়টি দেশের নাগরিকদের জন্যঃ
১. আফগানিস্তান
২. লিবিয়া
৩. ইয়েমেন
৪. সোমালিয়া
৫. লেবানন
৬. বাংলাদেশ
৭. ক্যামেরুন
৮. সুদান
৯. উগান্ডা
এসব দেশের নাগরিকরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে যারা ইতোমধ্যে বৈধ ভিসা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না।
UAE এর নির্দেশনা পাবেন এই লিংকে : https://uaevisaonline.com/articles/uae-visa-ban-countries
এ বিষয়ে ইউএই সরকার আনুষ্ঠানিক কোনো কারণ জানায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্র ও সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিরাপত্তা উদ্বেগ, অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক এবং স্বাস্থ্য-ঝুঁকিসহ বিভিন্ন বিষয় এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রভাব ফেলতে পারে। পূর্বে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে কঠোর প্রবেশ নীতিমালা গ্রহণ করেছিল ইউএই, যা এবার নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা কতদিন বহাল থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ভ্রমণ, কাজ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ইউএই-গামী হাজারো নাগরিকের পরিকল্পনা এই ঘোষণার ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
ইউএই দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার। বর্তমানে সেখানে কয়েক লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী বৈধ ভিসায় কর্মরত আছেন। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে শ্রম অভিবাসন ও পর্যটন খাতের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।