জাতিসংঘের কমিশন গাজার ওপর ইসরাইলের যুদ্ধকে গণহত্যা ঘোষণা করেছে - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর দাবি – গাজা গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া থেকে নিষিদ্ধ করা হোক গ্রিসে শ্রমিক সংকটে বাংলাদেশি মালিকানাধীন গার্মেন্টস খাতও বিপর্যস্ত নিখোঁজের দুই দিন পর নদী থেকে উদ্ধার মসজিদের ইমামের মরদেহ জাতিসংঘের কমিশন গাজার ওপর ইসরাইলের যুদ্ধকে গণহত্যা ঘোষণা করেছে পীরগাছায় পদ্মরাগ ট্রেনের ছয় বগি লাইনচ্যুত, রংপুর-লালমনিরহাট ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট, জমি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার ফন্দি ইসরায়েল-ভারতের! নবীনদের পদচারণায় মুখরিত শেকৃবি কুবি শিক্ষার্থী ও মা হত্যা: সুষ্ঠু তদন্তে বিক্ষোভ মিছিল শেষে স্মারকলিপি প্রদান আত্রাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জাতিসংঘের কমিশন গাজার ওপর ইসরাইলের যুদ্ধকে গণহত্যা ঘোষণা করেছে

আন্তর্জাাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের কর্মকাণ্ডে গণহত্যার প্রমাণ, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র উদ্বেগ জাগাচ্ছে

জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন (UN Independent International Commission of Inquiry) গাজার ওপর ইসরাইলের চলমান যুদ্ধকে গণহত্যা হিসেবে ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৪৮ সালের ‘জেনোসাইড কনভেনশন’-এ উল্লেখিত পাঁচটি অপরাধের মধ্যে চারটি সংঘটিত হয়েছে।

কমিশনের মতে, ইসরাইলি সেনাদের হামলা, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধ্বংস, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহে বাধা, অবকাঠামো ভেঙে ফেলা এবং লাখো মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা গণহত্যার সুস্পষ্ট প্রমাণ। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রেসিডেন্ট ইসাক হার্জগ এবং সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াওভ গ্যালেন্টের বক্তব্য ও কার্যক্রমে “গণহত্যার উদ্দেশ্য” প্রতিফলিত হয়েছে।

যদিও এই প্রতিবেদন আইনি দিক থেকে বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আন্তর্জাতিক আদালত (ICJ) ও যুদ্ধাপরাধ আদালতে (ICC) গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করেছে।

অন্যদিকে, ইসরাইল জাতিসংঘ কমিশনের এই প্রতিবেদনকে “ভিত্তিহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট” আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির দাবি, এই তদন্ত ‘হামাস-প্রভাবিত’ এবং ইসরাইলকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, গাজার ভেতরে এখনো মানবিক বিপর্যয় চরমে—খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে সংকটাপন্ন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে হাজারো বসতি, লাখো মানুষ গৃহহীন। এ পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে চাপ বাড়াবে এবং ইসরাইলকে আরও বিচ্ছিন্ন করে তুলতে পারে। একইসঙ্গে, মুসলিম বিশ্ব ও মানবাধিকারকেন্দ্রিক দেশগুলো এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে নতুন করে রাজনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT