চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ আলেমে দ্বীন। উলামায়ে কেরাম ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের ছায়া।
চট্টগ্রামের পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার সদরে মুহতামিম ও প্রধান শায়খুল হাদীস ফকিহুদ্দীন আল্লামা শাহ মুফতি আহমাদুল্লাহ সাহেব (রহ.) ইন্তেকাল করেছেন। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন]। জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার পক্ষ থেকে তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রবীণ এই আলেমের জানাজার নামাজ আজ (রবিবার) রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে তার পরিবার ও জামিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গত জুলাই মাসে ব্রেইন স্ট্রোক হলে তাকে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। উনার ইন্তেকালের সংবাদে দেশের উলামায়ে কেরাম, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর শোক নেমে এসেছে।
১৯৪১ সালের ১ মে (১৪ রবিউস ছানি, ১৩৬১ হিজরি) চট্টগ্রামের পটিয়া থানার নাইখাইন গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুফতি আহমাদুল্লাহ। শৈশবে মাত্র ১০ বছর বয়সে কোরআন হিফজ সমাপ্ত করে জামিয়া আরাবিয়া জিরি মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের লাহোরের জামিয়া আশরাফিয়া, মুলতানের খাইরুল মাদারিস এবং করাচির দারুল উলুম থেকে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা লাভ করেন।
দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে তিনি জিরি মাদ্রাসায় প্রায় ২৩ বছর এবং পরবর্তীতে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় কয়েক দশক ধরে হাদিস, ফিকহ ও উচ্চতর ইসলামী বিদ্যা পাঠদান করেন। পাশাপাশি তিনি মুহতামিম হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছিলেন।
তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে মাশায়েখে চাটগাম, তাজকেরাতুন নূর, তাসকিনুল খাওয়াতির ফী শরহিল আশবাহি ওয়ান্নাযায়ের, ইসলামের দৃষ্টিতে শেয়ার বাজার ও মাল্টিলেভেল মার্কেটিংসহ একাধিক গ্রন্থ ও প্রবন্ধ।
আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রেও তিনি বাংলার প্রখ্যাত বুযুর্গ আল্লামা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)–এর খলিফা ছিলেন।