প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। গত ৩০ আগস্ট শনিবার সকালে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে সার্কুলার প্রকাশ পেলেও ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শব্দের মারপ্যাঁচে ট্রান্সজেন্ডারকেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ এর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোমলমতি শিশুদের মানসপট থেকে ধর্মীয় চেতনা মুছে দিতেই ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে পতিত সরকারের মত বর্তমান সরকারও একই পথ বেছে নিয়েছে।
সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম জাকারিয়া উল্লেখ করেন, দেশে বিভিন্ন ধর্মের কোটি শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। প্রতিটি ধর্মের জন্য পৃথক পাঠ্যপুস্তক থাকলেও ধর্মীয় শিক্ষক না থাকায় এক ধর্মের বই অন্য ধর্মের শিক্ষক পড়াচ্ছেন, ফলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান এবং রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোকেও এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক ডা. আব্দুস সবুর, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইশতিয়াক আল আমীন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) প্রভাষক রুহুল আমীনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বৈঠক থেকে অনতিবিলম্বে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।