কিশোরগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা আবারও ভয়াবহ বিপদের কারণ হলো। আজ সকাল ৯টার দিকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের পাশে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ হারাতে বসেন দুই ভাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় তাদের জীবিত উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
উদ্ধার হওয়া দুজন হলেন শহরের হারুয়া এলাকার বাসিন্দা সাকিব (২৫) ও শাকিল (৩০)। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আব্দুল্লাহ খালিদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছোট ভাই সাকিব আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নদীতে ঝাঁপ দেন। তাকে বাঁচাতে বড় ভাই শাকিল পানিতে নামেন। কিন্তু নদীতে প্রচুর কচুরিপানা ও ময়লার কারণে তারা পানির নিচে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
স্টেশন অফিসার খালিদ বলেন, নরসুন্দা নদীতে কচুরিপানা ও আবর্জনা এত বেশি জমেছে যে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, দ্রুত নদী পরিস্কার না করা হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এক সময়ের প্রাণবন্ত নরসুন্দা নদী দীর্ঘদিন ধরেই মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী খনন ও সৌন্দর্যবর্ধনের নামে কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি। বরং ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানায় নদী ভরাট হয়ে গেছে। দুর্গন্ধ, মশার উৎপাত ও দখলদারদের অব্যাহত দৌরাত্ম্যে নরসুন্দার সৌন্দর্য এখন অতীতের স্মৃতি।
স্থানীয়রা জানান, কচুরিপানা ও ময়লা পরিষ্কারে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আরও বাড়বে। তারা নদী পুনরুদ্ধারে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।