চীনের গুইঝৌ প্রদেশের কার্স্ট পাহাড়ের ভেতরে অবস্থিত হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু সম্প্রতি তার চূড়ান্ত ভার বহন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সেতুটি উচ্চতা ৬২৫ মিটার এবং মোট দৈর্ঘ্য ২,৮৯০ মিটার, যার প্রধান স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১,৪২০ মিটার। বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘অভূতপূর্ব প্রকৌশল কীর্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সেতুর নির্মাণ প্রকল্পে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু হয় এবং সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে জনসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু উদ্বোধনের পর লিউঝি থেকে আনলং যাওয়ার সময় ২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে মাত্র ২ মিনিটে আসা যাবে, যা স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পর্যটনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর ভার বহন পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষার সময় মোট ৯৬টি ভারী ট্রাক, যার মোট ওজন ৩,৩৬০ মেট্রিক টন, সেতুর ওপর রাখা হয়। সেতুর মূল স্প্যান, টাওয়ার, কেবল এবং সাসপেন্ডারগুলোতে ৪০০-রও বেশি সেন্সর স্থাপন করে সামান্যতম নড়াচড়াও পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রকৌশলীরা নিশ্চিত করেছেন যে, সেতুর শক্তি, স্থিতিশীলতা ও সামগ্রিক কর্মক্ষমতা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মানদণ্ড পূরণ করেছে।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপক উ ঝাওমিং জানান, সেতু নির্মাণে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। কংক্রিট ঢালার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, খাড়াভূমি ঠিক রাখা এবং শক্তিশালী বাতাসের প্রভাব কমানো ছিল মূল সমস্যা। তবুও নির্মাণ দল নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করেছে। ফলে পাহাড়ি এলাকায় সবচেয়ে বড় স্প্যানের সেতু তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুর মধ্যে আটটি ইতিমধ্যেই চীনের গুইঝৌ প্রদেশে অবস্থিত। হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতু উদ্বোধনের পর এটি এই তালিকায় নতুন রেকর্ড তৈরি করবে।