সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রকে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেছুর রহমান। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ড. মোখলেছুর রহমান বলেন, সাদাপাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের বড় কোনো কর্মকর্তা বা রাজনৈতিক দলের নেতা জড়িত থাকলেও কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি জানান, পর্যটনকেন্দ্রটিকে সম্পূর্ণভাবে নজরদারির আওতায় আনতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সাহস না পায় এবং প্রশাসন সর্বদা সজাগ থাকতে পারে।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, লুট হওয়া পাথর ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে এবং প্রতিস্থাপনও করা হচ্ছে। যদিও আগের মতো পুরো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হয়তো আর ফিরবে না, তবুও পূর্বাবস্থায় ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, সাদাপাথরসহ দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সাদাপাথরে শুধু লুট নয়, হয়েছে হরিলুট। এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন, সে রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি হোক বা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কেউ—কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না।”
তিনি আরও জানান, সাদাপাথরসহ দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে বিশেষ প্যাকেজ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটিকে সরেজমিন তদন্ত শেষে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।