বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল গ্রামে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক গৃহবধূর। নিহত মীম আখতার (২০ ) গুনাহার ইউনিয়ন এর ঝাজিরা গ্রামের মৃত আইনুদ্দীন সরদারের মেয়ে এবং চামরুল গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ আগস্ট শুক্রবার সকালে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মীমের মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লেও শ্বশুরবাড়ি থেকে খবর পাঠানো হয়নি তার পরিবারকে। সৌদি আরবে থাকা এক আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পেয়ে মীমের মা ছুটে যান চামরুল গ্রামে। সেখানে গিয়ে তিনি ঘরের ভেতরে বিছানার ওপর মীমের নিথর দেহ দেখতে পান। তবে ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না মীমের স্বামী সোহেল রানা কিংবা তার শ্বশুর-শাশুড়ি।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন মীম আত্মহত্যা করেছেন, তবে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করছেন এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। স্বজনদের দাবি, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
পুলিশের তত্ত্বাবধানে লাশ পাঠানো হয় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু ১৭ আগস্ট পর্যন্ত (প্রায় ১০ দিন পরও) থানায় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার। তাদের অভিযোগ, প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া সম্ভব হলেও থানা পুলিশ তা নিচ্ছে না।
মীমের পরিবার জানায়, পুলিশের এই বিলম্বে তারা আশঙ্কা করছেন পোস্টমর্টেম রিপোর্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হতে পারে।
এ বিষয়ে গুনাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, “আমি বিষয়টি নিয়ে ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিবারকে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
নিহতের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মীমের মা ও স্বজনরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মীমের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন এবং দায়ীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।