জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েল ও রাশিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের অভিযোগে সতর্ক করেছেন। গতকাল (১২ আগস্ট) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।
গুতেরেস জানান, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিবেদনে ইসরায়েলি ও রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা যুদ্ধাপরাধের সামিল এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”
ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। বিশেষ করে, গাজা ও পশ্চিম তীরে বিভিন্ন কারাগারে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনে বন্দী ফিলিস্তিনি ও ইউক্রেনীয়দের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব ইসরায়েল ও রাশিয়াকে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি এই ধরনের ঘটনা বন্ধ না হয়, তাহলে আগামী বছরের প্রতিবেদনে এই দেশগুলোকে যুদ্ধাপরাধের সন্দেহভাজন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।”
জাতিসংঘের এই সতর্কবার্তা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইসরায়েল ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েল ও রাশিয়া উভয়ই জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনকে অস্বীকার করেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, জাতিসংঘের প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়নি। রাশিয়া বলেছে, তারা এই ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে।
জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সতর্কবার্তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এটি যুদ্ধক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।