ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা চালানোয় দাবিদার হয়েছে। গাজার সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতার প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, ইয়াহিয়া সারি জানান, এই হামলায় তারা ইসরায়েলের চারটি কৌশলগত স্থানে আঘাত হেনেছে—হাইফা বন্দর, নেগেভ অঞ্চল, উম্ম আল-রশরাশ (আইলাত) ও বিরসেবা। একাধিক ড্রোন ব্যবহার করে তারা প্রত্যেক স্থানে সফলভাবে আঘাত করেছে। সারির ভাষায়, “গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হলে এবং অবরোধ তুলে নেওয়া না হলে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অপরদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এখনো হুথিদের এই হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজার অবরোধ ও ধারাবাহিক সামরিক হামলা হুথিদের তৎপরতার মূল কারণ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৮৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩১ জন নিহত ব্যক্তি ত্রাণের অপেক্ষায় ছিল। একই সময়ে আরও ৫১৩ জন আহত হয়েছেন।
খাদ্য সংকটের কারণে অনাহারে মারা গেছে আরও পাঁচ জন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এতে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে, যার মধ্যে ১০৩ জন শিশু।
গত কয়েক মাস ধরে হুথি বিদ্রোহীরা প্রায় নিয়মিত ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আসছে। তবে এবার হাইফা বন্দরের মতো কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলার দাবি এই সংঘাতের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করেছে। আন্তর্জাতিক মহল এই উত্তেজনা শিথিলের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা জোর দিচ্ছে।