১২ আগষ্ট ২০২৫
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আইডিএফ-এর অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৪৯৯ জনে, আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৫ জন। মন্ত্রণালয় জানায়, শুধু হাসপাতালে পৌঁছানো নিহত ও আহতদেরই এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ ও সড়কে পড়ে থাকা বহু মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি সরঞ্জামের অভাব এবং অব্যাহত বোমাবর্ষণের কারণে।
সামরিক হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহও কঠোরভাবে সীমিত করেছে, যার ফলে ভয়াবহ খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন ২২২ জন, যার মধ্যে ১০১ জন শিশু। সোমবারও খাদ্যাভাবজনিত কারণে এক শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ত্রাণ সংগ্রহে আসা সাধারণ মানুষকেও লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এভাবে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৭৭২ জন। খাদ্যাভাব, অপুষ্টি ও ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহতদেরও মোট প্রাণহানির পরিসংখ্যানে ধরা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এর পরদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। টানা ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও, ১৮ মার্চ থেকে ফের হামলা শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় গত প্রায় পাঁচ মাসে নিহত হয়েছেন আরও ৯ হাজার ৯৮৯ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৪১ হাজার ৫৩৫ জন ফিলিস্তিনি।
জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনো জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার গাজায় অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ দুর্বল করা এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।