জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়নে নতুন যাত্রা শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা সহজতর করা ও পুস্তকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রন্থাগারে যুক্ত হয়েছে একাধিক আধুনিক অটোমেশন টুলস।
সোমবার (০৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, পিএইচডি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার অফিস আয়োজিত ‘জুলাই গাথা: দৃশ্যপটে নীরব স্মৃতিচারণ ও জাবি গ্রন্থাগার আধুনিকায়নে নবযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “এই অটোমেশন প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের সময় সাশ্রয় করবে এবং গ্রন্থাগারের সঙ্গে তাদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলবে।”
গ্রন্থাগারে সংযোজিত নতুন প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে আরএফআইডি ও ইউএইচএফ সিকিউরিটি গেইট, বুক সার্চিং ও ইস্যু কিঅস্ক, এবং ড্রপবক্স। বিশেষ করে ড্রপবক্স সুবিধার ফলে শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে না এসেও অনুষদ বা আবাসিক হল থেকে বই ফেরত দিতে পারবেন।
এছাড়াও শিক্ষকদের লেখালেখিতে সহায়তার জন্য গ্রামারলি সাবস্ক্রিপশন চালু করা হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে তাদের জন্য পৃথক পাঠকক্ষ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
উপাচার্য আরো বলেন, “এই আধুনিকায়ন শুধু প্রযুক্তিগত নয়, বরং এটি শিক্ষার পরিবেশকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই করার উদ্যোগ।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন গ্রন্থাগারের ডেপুটি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম।
গ্রন্থাগার আধুনিকায়নের এই প্রক্রিয়াকে টেকসই করার বিষয়ে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।