গ্রিসের জনপ্রিয় বলিভার সৈকতে এক সিরীয় যুবকের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন এক ইসরায়েলি পর্যটক। ঘটনার সময় ওই সিরীয় ব্যক্তি ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’ ও ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে দিতে ওই পর্যটকের ভিডিও করছিলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে তিনি ইসরায়েলি পর্যটকের কানে কামড়ে তার কানের একটি অংশ ছিঁড়ে ফেলেন।
আহত পর্যটক স্তাভ বেন-শুশান স্ত্রীকে নিয়ে গ্রিসে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সৈকতে অবস্থানকালে সিরীয় যুবকের আচরণে তারা অস্বস্তিতে পড়েন। প্রথমে ওই যুবক তাদের ভিডিও করতে থাকেন এবং উচ্চস্বরে ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর সে তাদের দিকে বালু ছুড়ে মারলে বেন-শুশান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তাকে ধাক্কা দেন। নিরাপত্তাকর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সিরীয় যুবককে বিচ এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়।
তবে ঘণ্টাখানেক পর সেই ব্যক্তি আবার ফিরে আসে। এবার সে বেন-শুশানের স্ত্রীকে লক্ষ্য করে তেড়ে যায়। স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারী সরাসরি বেন-শুশানের কানে কামড় দেয় এবং কানের একটি অংশ ছিঁড়ে ফেলে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিতে হয়।
ঘটনার পর পুলিশ উভয় পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। ইসরায়েলি পর্যটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, তিনি সিরীয় যুবককে উদ্দেশ করে বর্ণবৈষম্যমূলক কথা বলেছিলেন।
সম্প্রতি গ্রিসে ইসরায়েলি পর্যটকদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিদ্বেষমূলক ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগেই রোডস দ্বীপে ইসরায়েলি কিশোরদের মারধর করা হয় এবং সাইরসে এক ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজকে বন্দরে ভিড়তে বাধা দেওয়া হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও ফিলিস্তিনে সহিংসতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। তারই প্রকাশ ঘটছে এই ধরনের প্রতিবাদমূলক আচরণে। অনেকেই বলছেন, দখলদার রাষ্ট্রের নাগরিকরা যেখানেই যাবে, সেখানেই প্রতিবাদের মুখে পড়বে—এটাই এখন বাস্তবতা।
এই ঘটনার বিষয়ে গ্রিস সরকার এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।