এসএসসিতে ১২৩০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছে নাগেশ্বরীর তুশিন - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
রোহিঙ্গাদের ওপর আরাকান আর্মির নির্মম নির্যাতনের তথ্য, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানল: সাতজনের মৃত্যু, বহু এলাকা পুড়েছে সাপে কেটেছিল এক সাপুড়েকে, সেই সাপই কাঁচা চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে শেরপুরে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ULAB এর ওয়ার্কশপে BUPGAC এর গঠনমূলক অংশগ্রহণ আত্রাইয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১১৩ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ব্লগার ফারাবির জামিন মঞ্জুর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ইউক্রেন যুদ্ধ না থামালে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা যুদ্ধ বন্ধ না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য সাবেক আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তি: সেনানিবাসে কীভাবে আশ্রয় নিলেন

এসএসসিতে ১২৩০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছে নাগেশ্বরীর তুশিন

জাকারিয়া হোসেন (কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি)
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৩ বার দেখা হয়েছে

২০২৫ সালের এএসএসসি পরীক্ষার সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে ১ হাজার ৩০০ নম্বরের মধ্যে ১ হজার ২৩০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী তাসফিয়া তাইমুম তুশিন। সে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গোপালপুর ব্যাপারীটারী এলাকার তাজুল ইসলাম ও রাশেদা পারভীন দম্পতির মেয়ে। তার বাবা উপজেলার গাগলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মা গৃহিনী। দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালের এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়ে সে এই সাফল্য অর্জন করে। তার এই সাফল্যে বাবা, মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনসহ সবাই খুশি।

এ বিষয়ে তুশিনের সাথে কথা হলে সে জানায়, আমি প্রথমে জানতামই না যে আমি এত নম্বর পেয়েছি। আমি জানতে পারি যে জিপিএ-৫ পেয়েছি। পরে সন্ধ্যায় যখন জানলাম যে উপজেলায় সর্বোচ্চ নাম্বারে আমি উপজেলায় দ্বিতীয় তখন তো আমি খুশিতে আত্মহারা। এতটা ভালো রেজাল্ট আসবে ভাবতেও পারিনি। তবে এই অর্জন আমার একার না, এ অর্জন আমার বাবা-মা ও পিতৃতুল্য স্যারদের পরিশ্রম, শাসন, দোয়া ও ভালোবাসার জন্যই হয়েছে। তাঁদের দিকনির্দেশনা আর উৎসাহ উদ্দীপনায় আমি আজ ভালো রেজাল্ট করতে পেরেছি। এজন্য সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইলো। ভবিষ্যতে যেনো আমি এই সাফল্য ধরে রাখেতে পারি। আমার স্বপ্ন আমি ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই। এজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

তার বাবা তাজুল ইসলাম জানায় নিয়মিত স্কুলের শিক্ষকদের আন্তরিকতা আর নির্দেশনায় মেনেই পড়াশোনা করেছে। শিক্ষকদের আন্তরিকতা আর গাইডলাইনের কারণেই তার এমন সাফল্য এসেছে। মেয়ের এই অর্জনে শুধু আমি না আমাদের পরিবারে যারা আছেন তারা এতটাই খুশি যে বলে বোঝাতে পারব না।

ফলাফলে আনন্দিত তুশিনের মা বলেন, আজকে তার এই অর্জনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। যেনো আমি নিজেই এই ফলাফল পেয়েছি। সন্তানের এই সাফল্যে নিজের প্রতি গর্ব হয়। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।

উপজেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, আমাদের বিদ্যালয় থেকে সে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। এজন্য তার প্রতি অভিনন্দন ও দোয়া রইলো। ভবিষ্যতে তার এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT