বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের এবারের দাখিল পরীক্ষায় দেশের সেরা হয়ে ইতিহাস গড়েছে ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদরাসা। এই প্রতিষ্ঠানের ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে দেখিয়েছে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৭ জন। আর সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য, প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে শতভাগ পাসের গৌরব। দেশের মাদরাসা শিক্ষায় এমন নজিরবিহীন সাফল্যে ঝালকাঠির মানুষও আনন্দে ভাসছে।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম জানালেন, এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খ্যাতিমান ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত আযীযুর রহমান কায়েদ। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবারের দাখিল পরীক্ষায় ৪২৭ জন অংশ নেয়, যার মধ্যে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পাওয়া ২২৭ জন শিক্ষার্থী পুরো জেলায় এক আলোড়ন তুলে দিয়েছে। শতকরা ৫৪ ভাগ জিপিএ-৫ প্রাপ্তি এবং প্রায় ৯৯.৭৭ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দেশসেরা হয়েছে এই মাদরাসা।
অধ্যক্ষ আরও জানান, এবার দারুন্নাজাত আলিয়া মাদরাসার পাসের হার ৯৬ শতাংশ এবং তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার ৯৭ শতাংশ। কিন্তু গড় হিসেবেই দেশের সেরা অবস্থানে রয়েছে ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদরাসা। এ সাফল্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী আনন্দে আত্মহারা।
একইসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও উজ্জ্বল ঝালকাঠি। সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২১২ জন। এর মধ্যে ৫৪ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১২ জন। তাদের মধ্যেও ৫৮ জন পেয়েছে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫। শহরের ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় ৩৮ জনের মধ্যে ৩২ জন উত্তীর্ণ এবং ২ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। কুতুবনগর আলিম মাদরাসায় ৩৮ জনের মধ্যে ৩৪ জন পাস করেছে এবং ২ জন জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। আর উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮১ জন। যদিও কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
এবারের দাখিল ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘিরে পুরো ঝালকাঠি জেলায় বইছে উৎসবের আমেজ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, এই সাফল্য নতুন প্রজন্মের শিক্ষা এবং মেধা বিকাশের পথকে আরও উজ্জ্বল করবে। সাবাস বাংলাদেশ!