অনলাইন প্রতারণায় নিঃস্ব শত শত পরিবার, নড়াইলে চার প্রতারক পুলিশের জালে - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জুলাই গণআন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় আজ নিষিদ্ধ আওয়ামী কর্মীদের নাশকতা—বিভিন্ন স্থানে আগুন–বিস্ফোরণ ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইবি শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন জাবিতে রাত ১০টার পর সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ জাবি ভর্তি আবেদন শুরু ২৩ নভেম্বর, চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বালিয়াকান্দিতে আই ফাউন্ডেশনের চক্ষু ক্যাম্প, শতাধিক দরিদ্র রোগী পেলেন বিনামূল্যে চিকিৎসা স্বপ্ন, সংগ্রাম আর সাফল্যের গল্প—কুবির পাঁচ কৃতি শিক্ষার্থীর বিসিএস জয়যাত্রা বিবিসিতে শেখ হাসিনা অস্বীকার করলেন গণঅভ্যুত্থান হত্যা অভিযোগ জুলাই সনদে আইনি সিল, এক ঘোষণায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙলেন ইউনূস

অনলাইন প্রতারণায় নিঃস্ব শত শত পরিবার, নড়াইলে চার প্রতারক পুলিশের জালে

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৭৭ বার দেখা হয়েছে

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ও যাদবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে শত শত পরিবারকে নিঃস্ব করার অভিযোগে চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। সোমবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে আট ঘণ্টার অভিযান শেষে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ছয়টি মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—রঘুনাথপুর গ্রামের মো. শুকুর আলী মুন্সির ছেলে মো. মুসাব্বির মুন্সি ছিপাতুল্যা (২৮), যাদবপুর গ্রামের শেখ বাহার উদ্দিনের দুই ছেলে মো. নাজমুল হুসাইন (৩১) ও বাপ্পি হাসান অভি (২৭) এবং একই গ্রামের মো. আফসার মীনার ছেলে মো. রনি মীনা (৪১)।

ডিবি পুলিশের তথ্য মতে, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে। এরপর কোম্পানির এজেন্টদের মাধ্যমে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়। অপরাধীরা তাদের অর্জিত অর্থ বিলাসবহুল জীবনযাপন, মাদকাসক্তি এবং অনলাইন গেমিং খাতে ব্যবহার করে।

গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছেন যে, তাদের এলাকাসহ আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামের হাজারো পরিবার এই প্রতারণার শিকার হয়েছে। প্রতারণার শিকার অনেকেই জরুরি চিকিৎসার জন্য জমিয়েও রাখা অর্থ হারিয়ে দিশেহারা হয়েছেন। একজন ভুক্তভোগী নয়ন টিকাদার জানান, ২১ হাজার টাকা তুলে দিয়েও প্রতারকদের কাছ থেকে কোনো পণ্য পাননি। অন্য ভুক্তভোগী আহাদ বলেন, মোটরসাইকেলের নামে এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হলেও পণ্য দেয়নি প্রতারকরা।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি সাধারণ জনগণকে অনলাইনে কেনাকাটায় সাবধান ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং প্রতারণা চক্র নির্মূলের জন্য নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT