রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ ২ জন নিহত - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ব্লগার ফারাবির জামিন মঞ্জুর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ইউক্রেন যুদ্ধ না থামালে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা যুদ্ধ বন্ধ না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য সাবেক আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তি: সেনানিবাসে কীভাবে আশ্রয় নিলেন ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু – সাগর ও হিমেল রাশিয়ার উপকূলে ৮.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতায় কাঁপছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ যুক্তরাজ্যে বিমানে মুসলমান সেজে ‘জঙ্গী’ হবার চেষ্টা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুর! ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, ছয় কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট অভিবাসন আইন-২৫ অনুমোদন স্থগিত করে আদালতে পাঠালেন ফার্মগেটে বিআরটিসি দোতলা বাসের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারে ধাক্কা

রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ ২ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৫২ বার দেখা হয়েছে

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এর সামরিক কমান্ডারসহ দুইজন সশস্ত্র জঙ্গি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনীর এই অভিযান পরিচালিত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক মো. রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতদের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

জানা গেছে, সকালে সেনাবাহিনীর বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রুমা উপজেলার এক অতি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কেএনএ’র গোপন আস্তানায় অভিযান চালায়। হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলাগুলি শুরু হয়। দীর্ঘ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর সেনাবাহিনী এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে ঘটনাস্থলে কেএনএ’র সামরিক শাখার কমান্ডারসহ দুইজনের লাশ পাওয়া যায়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৩টি সাবমেশিন গান (এসএমজি), ১টি রাইফেল এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে। সেনাবাহিনীর ধারণা, ঘাঁটির আশপাশের ঝোপঝাড় এবং পাহাড়ি পথের আশপাশে আরও কেএনএ সদস্য লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই পুরো এলাকা ঘিরে অভিযান এখনও চলছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৯ মে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী রোনিন পাড়া এবং পাইক্ষ্যং পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর তিনজন সদস্য নিহত হয়। ওই অভিযানের সময়ও বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। এদিকে গত ২৬ জুন বান্দরবানের রুমা উপজেলার সুসুং পাড়ায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পালিয়ে যাওয়া ১২২টি বম পরিবার তাদের নিজ গ্রামে ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে সশস্ত্র জঙ্গি তৎপরতার কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়। সাধারণ মানুষ ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। সেনাবাহিনীর টানা অভিযানের ফলে পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। মানুষ আবারও নিরাপদে নিজ গ্রামে ফিরে আসছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অপহরণ এবং টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। সেই ঘটনার পর থেকেই পাহাড়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেনা সূত্রে জানা যায়, পুরো পার্বত্য বান্দরবানে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই এ অভিযান। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানি থামিয়ে পাহাড়কে নিরাপদ রাখাই এ অভিযানের মূল লক্ষ্য। সেনাবাহিনীর এ সফল অভিযানকে এলাকাবাসী স্বাগত জানিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT