ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউ যেন সোনার হরিণ, তৃতীয় পক্ষ ছাড়া মেলে না আসন - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ULAB এর ওয়ার্কশপে BUPGAC এর গঠনমূলক অংশগ্রহণ আত্রাইয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১১৩ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ব্লগার ফারাবির জামিন মঞ্জুর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ইউক্রেন যুদ্ধ না থামালে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা যুদ্ধ বন্ধ না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য সাবেক আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তি: সেনানিবাসে কীভাবে আশ্রয় নিলেন ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু – সাগর ও হিমেল রাশিয়ার উপকূলে ৮.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতায় কাঁপছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ যুক্তরাজ্যে বিমানে মুসলমান সেজে ‘জঙ্গী’ হবার চেষ্টা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুর! ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, ছয় কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ

ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউ যেন সোনার হরিণ, তৃতীয় পক্ষ ছাড়া মেলে না আসন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৬২ বার দেখা হয়েছে

রোগীর বাঁচা-মরার শেষ আশ্রয়স্থল বলে বিবেচিত হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। তবে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আইসিইউ ঘিরে তৈরি হয়েছে গোপন দৌড়ঝাঁপের সংস্কৃতি, যেখানে প্রভাব, সুপারিশ আর ‘তৃতীয় পক্ষের’ মধ্যস্থতা ছাড়া সাধারণ রোগীর স্বজনদের জন্য বেড পাওয়া হয়ে উঠেছে দুঃসাধ্য।

বর্তমানে ঢামেকে মোট ৯৪টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এর মধ্যে ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ৪১টি, বার্ন ইউনিটে ২০টি ও নতুন ভবনে রয়েছে আরও ২১টি। এছাড়া জরুরি সেবায় নিয়োজিত ওএসইসি (One Stop Emergency and Casualty) ইউনিটে রয়েছে ১২টি বেড। সবগুলো বেডই বর্তমানে সচল ও ব্যবহৃত হচ্ছে।

আইসিইউ সেবা নিয়ে একাধিক রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, গুরুতর অবস্থাতেও সরাসরি বেড পাওয়া যায় না। অনেক জায়গায় চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ ‘ভিতরের লোক’ বা তৃতীয় পক্ষের শরণাপন্ন হতে হয়। এসব ব্যক্তিরা হাসপাতালের ভেতরের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে বেড ম্যানেজ করে দেন। অর্থ বা প্রভাব থাকলে সহজেই ব্যবস্থা হয়, কিন্তু গরিব ও সাধারণ রোগীদের জন্য অপেক্ষা আর হতাশা ছাড়া কিছু থাকে না।

এক স্বজন বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। টাকা ছাড়া কোথাও কাজ হয় না। শেষে বাধ্য হয়ে দালালের মতো লোকদের খুঁজতে হয়।” অনেকে জানিয়েছেন, ‘ওপর মহল’ থেকে চাপ এলে বেড বরাদ্দও সহজ হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন ভবনের ৪র্থ তলায় অবস্থিত ইউনিটে রয়েছে ৩১টি সাধারণ আইসিইউ বেড এবং সার্জারির রোগীদের জন্য সংরক্ষিত ১০টি এইচডিও (High Dependency Unit) বেড। কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা না থাকলেও বর্তমানে সব বেড সচল রয়েছে।

শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, সদ্যোজাত ও শিশুদের জন্য রয়েছে পৃথক NICU (Neonatal Intensive Care Unit) ও PICU (Pediatric Intensive Care Unit), যা শিশুদের জীবনরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আইসিইউ ভর্তির বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত গ্রহণে রোগীর বয়সকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় হিসেবে দেখেন। অল্প বয়সীদের বাঁচার সম্ভাবনা বেশি হওয়ায় তাদের অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থা, রোগের প্রকৃতি ও চিকিৎসা সফলতার সম্ভাবনার ভিত্তিতে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি হাসপাতালটিতে রয়েছে নবজাতকদের জন্য আলাদা NICU (Neonatal Intensive Care Unit) এবং শিশুদের জন্য PICU (Pediatric Intensive Care Unit), যা শিশুদের জীবনরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT