রাজবাড়ী সদর উপজেলা বাণীবহ বাজারে মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ তারিখ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক এর সার্বিক নির্দেশনায় রাজবাড়ী জেলা কার্যালয় কর্তৃক, সদর উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে সদর উপজেলার বাণীবহ বাজার এলাকায় বিভিন্ন নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, বেকারী ও খাদ্যপণ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে নিষিদ্ধ পণ্যের উৎপাদন ও বিক্রয়রোধ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ রোধসহ, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য এবং অননুমোদিত ও অবৈধ পণ্য বিক্রয় না করাসহ ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়।
এছাড়াও উপস্থিত সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। উক্ত কার্যক্রম পরিচালনাকালে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৩ ধারার লঙ্ঘনজনিত বিভিন্ন অপরাধে ০১ (এক) টি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। জেলা প্রশাসন রাজবাড়ী ও জেলা চেম্বার অব্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ এর সহায়তায় এবং উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সদর উপজেলা রাজবাড়ী ও পুলিশ লাইন্স রাজবাড়ী এর সদস্যবৃন্দ- এর অংশগ্রহণে উপর্যুক্ত তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। জনস্বার্থে এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন কর্মকর্তারা ।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৩ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ পণ্যের মোড়ক, যথাযথভাবে ব্যবহার ও সংরক্ষণ না করা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করার এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য রাখা ইত্যাদি অপরাধে,বাণীবহ বাজার ব্যবসাহী ও মেসার্স শিলা বেকারির সতর্কতামূলক ১০,০০০টাকা অর্থদণ্ড জরিমানা করা হয । অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর রাজবাড়ী সহকারি পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান ।
বাণীবহ বাজার ব্যবসায়ী সহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেসার্স শিলা বেকারির প্রোপাইটার খুশিদা বেগম, নামমাত্র থাকলেও বেকারী টি,দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করেন সিরাজুল ইসলাম, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য রাখার অপরাধে পূর্বেও এই বেকারিতে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও সংশোধন হন নেই সিরাজুল ইসলাম ।
ঘনবসতি এই বাজারের মধ্যে একাধিক গ্যাস সিলিন্ডারের সহায়তায়,বেকারী পরিচালিত ২টি চুলা পরিচালনা করা হয়, প্লাস্টিকের পাইবের সাহায্যে দুইটি চুলায় ২০টির অধিক গ্যাস সিলিন্ডার সংযুক্ত করে বিস্কুট তৈরির চুলা পরিচালনা করা হয় । ব্যবসাহীদের দাবি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে শত শত দোকানপাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, তাতে করে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে বাণীবহ ব্যবসায়ীদের ধারণা ।
শিলা বেকারির পরিচালক সিরাজুল ইসলামকে,বাণীবহ ব্যবসায়ীরা একাধিকবার গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা অন্যত্রায় সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করলেও কর্তৃপক্ষ পণ্যপাত করেন নাই বলে একাধিক ব্যবসাহীর অভিযোগ।
একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদকর্মীরা সরোজমিনে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গিয়ে অনিয়ম দেখতে পেয়ে ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেল, বেকারির পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন । একপর্যায়ে একাধিক সংবাদ কর্মীরা পিছু হোট্রে বাধ্য হয়, স্থানীয়দের দাবি অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ এই গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা ঘনবসতি এই বাজার হইতে অন্যথায় অবস্থান করানোর দাবী