২৩ জুন ২০২৫
বিশ্বস্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্ত ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থানে আছেন এবং সিরিজ শেষে বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঘোষণা ঠিক কবে আসবে—সিরিজ শেষে নাকি পরবর্তীতে, তা নির্ভর করছে বিসিবির সঙ্গে আলোচনার ওপর।
সূত্রটি আরও জানায়, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা শান্তকে হতাশ করেছে এবং সে কারণেই তিনি দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়ে মনস্থির করেছেন। এক বছরের জন্য টেস্ট দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর দীর্ঘ আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন শান্ত, ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে চেয়ে। পরে ওয়ানডে দল থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার জায়গায় নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজকে। যদিও শান্ত চেয়েছিলেন টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে।
ক্রিকবাজের তথ্য মতে, শান্ত এক সময় তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব ছাড়তে চাইলেও, তখনকার বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের অনুরোধে টেস্ট ও ওয়ানডে নেতৃত্বে থেকে যান তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে অধিনায়ক বদলের বিষয়টি শান্তকে না জানিয়ে করা হয়, যা তাকে বিস্মিত করে।
জানা গেছে, গত ১২ জুন বিসিবির এক জরুরি জুম মিটিংয়ের পরই মেহেদি হাসান মিরাজকে ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়। অথচ এর আগে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে আলোচনার কথা থাকলেও শান্তকে একটি ফোনকলের পর সেই বৈঠক বাতিল করতে হয়।
বোর্ডের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করছে, শান্ত এই সিদ্ধান্তের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি শ্রীলঙ্কা সফর ঘিরে পরিকল্পনা করছিলেন এবং খেলোয়াড়দের দায়িত্ব বণ্টন নিয়েও আলাপ করেছিলেন।
তবে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পরে গণমাধ্যমে বলেন, শান্তর কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়নি, বরং বোর্ডের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই পরিবর্তন আনা হয়েছে। শান্তও বিষয়টি খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর টেস্ট নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে কি না, সেটি এখন বোর্ড ও শান্তর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।