যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের রায় : ট্রান্সজেন্ডারদের আইনি স্বীকৃতি নেই - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কুবির সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর কওমি ডিগ্রিধারীদের জন্য কাজী হওয়ার দরজা খুলল; আরও সরকারি খাত উন্মুক্তের দাবি সীমান্তে তীব্র গুলি বিনিময়, পাকিস্তান–আফগানিস্তান উত্তেজনা চরমে জাককানইবিতে সমুদ্র ও জলবায়ু–বিষয়ক ‘Exploring the Blue Earth’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দুধকুমার নদে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ, স্বস্তিতে তীরবর্তী বাসিন্দারা ইবিতে জুলাই বিপ্লববিরোধী অভিযোগে ফের ৯ শিক্ষক বরখাস্ত নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর মানবিক উদ্যো‌গে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম নির্বাহী পরিচালক হলেন মো. সাদি উর রহিম জাদিদ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা জামায়াতের মনোনয়নে কে এই হিন্দু প্রার্থী

যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের রায় : ট্রান্সজেন্ডারদের আইনি স্বীকৃতি নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১৯ বার দেখা হয়েছে
যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের রায়
লন্ডনের সুপ্রিম কোর্টের বিচার নারীর আইনি সংজ্ঞা পড়ে শোনান

যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়েছে, সমতা আইনে ‘নারী’ শব্দের আইনি সংজ্ঞায় কেবলমাত্র ‘জৈবিক নারী’ বা জন্মসূত্রে নারী অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই রায়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের নারী হিসেবে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের সর্বসম্মত রায়ে বলা হয়, ২০১০ সালের সমতা আইনে ‘নারী’ ও ‘লিঙ্গ’ বলতে বোঝানো হয়েছে শুধুমাত্র জৈবিক নারী ও জৈবিক যৌনতা। এর ফলে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র, স্পোর্টস ক্লাবসহ নারীদের জন্য নির্ধারিত একক লিঙ্গের জায়গাগুলো এখন থেকে কেবল জন্মসূত্রে নারীদের জন্যই আইনি সুরক্ষা পাবে।

২০১৮ সালে স্কটল্যান্ডে পাস হওয়া একটি আইনে সরকারি বোর্ডে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের ‘নারী’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নারী অধিকার সংগঠন ‘ফর উইমেন স্কটল্যান্ড’ (FWS) মামলা করে।

প্রথমে স্কটিশ আদালত ট্রান্স নারীদের পক্ষেই রায় দেয়। কিন্তু সংগঠনটি পরে বিষয়টি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে তোলে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট ফর উইমেন স্কটল্যান্ডের পক্ষে রায় দেন এবং বলেন, আইনি ভাষায় নারী বলতে শুধুই জৈবিক নারীকে বোঝানো উচিত।

যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের রায় -কে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ‘স্পষ্টতা আনা একটি সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো একে ‘সাধারণ বোধের বিজয়’ বলে মন্তব্য করেছে।

বিচারক লর্ড হজ বলেন, “এই সিদ্ধান্তকে এক পক্ষের জয় আরেক পক্ষের পরাজয় হিসেবে দেখা উচিত নয়। সমতা আইন এখনো ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।”

নারী অধিকার সংগঠনের সদস্যরা আদালতের বাইরে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন, অনেকে আবেগে কেঁদে ফেলেন। সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সুসান স্মিথ বলেন, “এই রায় আমাদের দীর্ঘদিনের বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করেছে – নারীদের জন্য নির্ধারিত স্থান কেবল নারীদের জন্যই হওয়া উচিত।”

অন্যদিকে, স্কটিশ গ্রিন পার্টির এমএসপি ও ট্রান্স রাইটস অ্যাকটিভিস্ট ম্যাগি চ্যাপম্যান এই রায়কে “মানবাধিকারের জন্য উদ্বেগজনক” বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এটি সমাজের প্রান্তিক মানুষের জন্য এক বড় ধাক্কা।”

যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, এই রায় হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র ও নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিষ্কার দিকনির্দেশনা দিয়েছে এবং একক লিঙ্গের স্থানগুলো এখন আইনি সুরক্ষা পাবে।

রক্ষণশীল নেতা কেমি ব্যাডেনোচ রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এটি তাদের জয়, যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কিংবা নারীর সংজ্ঞা নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার কারণে চাকরি হারিয়েছেন।”

যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের রায় এমন এক সময় এল, যখন বিশ্বব্যাপী ট্রান্সজেন্ডার অধিকার ও নারীর অধিকার নিয়ে বিতর্ক নতুন করে জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রেও ট্রান্সজেন্ডারদের সেনাবাহিনী ও নারী খেলাধুলা থেকে বাদ দেওয়ার মত পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT