বাংলাদেশে স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট সেবায় আইনানুগ আড়ি পাতার সুযোগ রেখে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক দেশে কার্যক্রম শুরু করলে, তাদের সেবাতেও নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে।
‘নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক এই নির্দেশিকা বুধবার (২৬ মার্চ) প্রকাশ করা হয়। বিটিআরসি মূলত স্টারলিংকের সম্ভাব্য কার্যক্রমকে বিবেচনায় রেখে এই নির্দেশিকা তৈরি করেছে।
নির্দেশিকার ২৬(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট জাতীয় সংস্থার প্রয়োজন অনুযায়ী, লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে স্থাপিত তাদের ‘গেটওয়ে’র মাধ্যমে প্রবেশাধিকার দিতে হবে এবং আইনানুগ আড়ি পাতার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে হুমকিস্বরূপ ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তথ্য দিতে হবে, যার জন্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সক্ষমতা থাকতে হবে।
এছাড়া, স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১, ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইন ১৯৩৩ ও টেলিগ্রাফ আইন ১৮৮৫-সহ অন্যান্য বিধি ও নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, স্টারলিংক ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের অধীনস্থ একটি সংস্থা, যা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ভিডিও কলে ইলন মাস্কের সঙ্গে স্টারলিংক নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে সেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।