অবশেষে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে: গাজা থেকে ইউরোপের পথে ফিলিস্তিনিরা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ULAB এর ওয়ার্কশপে BUPGAC এর গঠনমূলক অংশগ্রহণ আত্রাইয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১১৩ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ব্লগার ফারাবির জামিন মঞ্জুর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ইউক্রেন যুদ্ধ না থামালে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা যুদ্ধ বন্ধ না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য সাবেক আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তি: সেনানিবাসে কীভাবে আশ্রয় নিলেন ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই বাংলাদেশি সাঁতারু – সাগর ও হিমেল রাশিয়ার উপকূলে ৮.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতায় কাঁপছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ যুক্তরাজ্যে বিমানে মুসলমান সেজে ‘জঙ্গী’ হবার চেষ্টা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুর! ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর, ছয় কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ

অবশেষে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে: গাজা থেকে ইউরোপের পথে ফিলিস্তিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৪ বার দেখা হয়েছে
ট্রাম্পের ষড়যন্ত্রে গাজাবাসীর ইউরোপে স্থানান্তর শুরু, ছবি: রয়টার্স
ট্রাম্পের ষড়যন্ত্রে গাজাবাসীর ইউরোপে স্থানান্তর শুরু, ছবি: রয়টার্স

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ৭০ জন ফিলিস্তিনি রওনা হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২০ মার্চ) দক্ষিণ ইসরায়েলের র‌্যামন বিমানবন্দর থেকে রোমানিয়ার একটি সামরিক বিমানে করে তারা ইউরোপের পথে যাত্রা করেন।

ইসরায়েলের ইংরেজি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট রোববার (২৩ মার্চ) জানায়, গাজা ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে গাজার বাসিন্দাদের অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করছে। তবে সমালোচকদের মতে, এটি গাজাবাসীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার কৌশল হতে পারে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।

যে কোনও গাজাবাসী তৃতীয় দেশে যেতে চাইলে তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সময় গাজার জনসংখ্যা স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।

এ লক্ষ্যে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজার বাসিন্দাদের তৃতীয় দেশে পাঠানোর জন্য একটি বিশেষ অধিদপ্তর গঠন করেছে।

যা কাটজের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।

এদিকে, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ প্রতিদিন ১০ হাজার গাজাবাসীকে স্থানান্তরের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা দিয়েছেন।

তবে এখন পর্যন্ত কোনও তৃতীয় দেশ বড় সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণে আনুষ্ঠানিক সম্মতি দেয়নি।

সমালোচকদের আশঙ্কা, এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শামিল হতে পারে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সরকার দাবি করছে, এটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ, যেখানে গাজাবাসীদের ‘নিরাপদ ও তত্ত্বাবধানে’ অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে গাজা থেকে স্থানান্তরের অবকাঠামো তৈরি করছে।

ভূমি, সমুদ্র ও আকাশপথে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুতই এই কার্যক্রম পরিচালনায় একজন বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতির মধ্যে ইসরায়েল তাদের অভিবাসন পরিকল্পনায় গতি এনেছে।

তবে ফিলিস্তিনিরা একে তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT