খেলাপি ঋণ : শীর্ষ খেলাপিদের কাছে পাওনা ৯ হাজার কোটি টাকা - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
জাবিতে প্রাণ রসায়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা বিদেশে নতুন আগত বাংলাদেশিদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফজলে এলাহী সাবেক সেনাকর্মকর্তার জবানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর প্রকৃত চিত্র কাতার–সৌদি মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ‘আপাতত স্থগিত’ করল আফগানিস্তান পাকিস্তান আবারও আফগান সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আফগান বাহিনী জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বালিয়াকান্দিতে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আটক কুবির তিন শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সে পুরস্কার জয়ী রাজবাড়ীর কালুখালীর গুণী সংগীতশিল্পী জাহিদ হাসানের মৃত্যু

খেলাপি ঋণ : শীর্ষ খেলাপিদের কাছে পাওনা ৯ হাজার কোটি টাকা

অর্থনীতি ডেস্ক।
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৯৮ বার দেখা হয়েছে

অগ্রণী ব্যাংকের শীর্ষ খেলাপিদের ঋণ পরিস্থিতি একটি গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ব্যাংকটির মোট খেলাপি ঋণ প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ৯ হাজার কোটি টাকা আটকে আছে শীর্ষ ১৮ খেলাপির কাছে। এককভাবে সর্বোচ্চ খেলাপি জজ ভূঞা গ্রুপ, যাদের পাওনা ২৩০০ কোটি টাকা।

শীর্ষ খেলাপিদের তালিকা ও পাওনার পরিমাণ

১. জজ ভূঞা গ্রুপ: ২৩০০ কোটি টাকা

২. তানাকা গ্রুপ: ৯২৬ কোটি টাকা

৩. সাত্তার গ্রুপ: ৫৫০ কোটি টাকা

৪. মুন গ্রুপ: ৫২৪ কোটি টাকা

৫. সোনালি গ্রুপ: ৫২২ কোটি টাকা

৬. অ্যারোস্টোকেট গ্রুপ: ৪৬২ কোটি টাকা

৭. ঢাকা হাইড অ্যান্ড স্কিন: ৪৫৮ কোটি টাকা

৮. প্যাসিফিক গ্রুপ: ৪৪৪ কোটি টাকা

৯. সাদ মুসা ফেব্রিক্স: ৪১১ কোটি টাকা

১০. সাহাবা ইয়ার্ন: ৩৭৪ কোটি টাকা

১১. অ্যাডভান্স কম্পোজিট মিলস: ৩১৮ কোটি টাকা

১২. প্রাইম কম্পোজিট মিলস: ৩১২ কোটি টাকা

১৩. নাভানা ফার্নিচার: ২৭২ কোটি টাকা

১৪. লিউ ফ্যাশন: ২২৯ কোটি টাকা

১৬. আর্থ এগ্রো ফার্মস: ২২৪ কোটি টাকা

১৬. জুলিয়া সোয়েটার কম্পোজিট ও এমআর সোয়েটার কম্পোজিট: ২২০ কোটি টাকা

১৭. জয়নব ট্রেডিং: ১৮৫ কোটি টাকা

১৮. সামিটেক্স গ্রুপ: ১৭০ কোটি টাকা

ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা ও উদ্যোগখে

লাপি ঋণের হার: প্রায় ৪০%।

মূলধন সংরক্ষণের হার: ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ৫% এর নিচে, যেখানে এটি ১২.৫% থাকা উচিত।

উদ্যোগ:

শীর্ষ খেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ আদায় জোরদার।

খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিল বা পুনর্গঠন।

নতুন ঋণ দেওয়া বন্ধ।

কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ।

পরবর্তী বছর ফরেনসিক অডিট পরিচালনা।

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদের মতে, ব্যাংকের সঠিক চিত্র তুলে আনতে ফরেনসিক অডিট জরুরি। এছাড়া, কর্মকর্তাদের আচরণজনিত সমস্যার সমাধানে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে

ছে। ব্যাংকটির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজন।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT