আগামী ২০ জানুয়ারি কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা পোস্ট নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
অগ্নিমিত্রা পাল বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনুসকে নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, “২০ তারিখের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন, কিন্তু ড. ইউনুস কোথায় থাকবেন, সেটাই দেখার বিষয়।” তিনি অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশের দরিদ্র ও অল্পশিক্ষিত জনগণকে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিজেপি নেত্রী আরও বলেন, “বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একসময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। আজকের এই বিভাজন মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহেরুর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে কিনা, তা নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।”
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে মনে করছেন যে অগ্নিমিত্রার এই মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ২০ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শপথ গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিজেপির নির্ভরতার ধারণাও নাকচ করে দিয়েছেন তারা।
এছাড়াও, গুজব রয়েছে যে ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা শেখ হাসিনার বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পথ সহজ করতে পারে। তবে বিরোধীরা একে ভিত্তিহীন এবং দিবাস্বপ্ন হিসেবে অভিহিত করেছেন।
২০ জানুয়ারি আসলে কী ঘটবে, তা এখন ভারত ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
এদিকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে ২০ জানুয়ারির সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন চলছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা এবং ড. ইউনুসের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শীর্ষে। বিএনপির নেতারা এ ধরনের মন্তব্যকে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, এবং তাদের দাবি, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা।
Leave a Reply