ভারতের সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ মানেই বিনোদনের এক ভিন্ন মাত্রা। তিনি কী সংবাদ উপস্থাপন করছেন, কেন বলছেন, বা তার তথ্যের সত্যতা কতটুকু—এসবের চেয়ে বেশি আলোচিত হয় তার অঙ্গভঙ্গি, স্টুডিওতে লাফানো-ঝাঁপানো এবং উচ্চস্বরে কথা বলা।
ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক বাংলার এই সাংবাদিক হঠাৎ করেই ভিত্তিহীন ও আজগুবি তথ্য সামনে আনেন। বাংলাদেশ থাকবে না, চট্টগ্রাম দখল হয়ে যাবে—এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত।
এবার সেই ময়ূখ রঞ্জন মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলমের। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে এক অনলাইন প্রশ্নোত্তর পর্বে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনা হয়।
একটি বাংলা টকশোতে সরাসরি যুক্ত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মাদ ইউনূসের প্রেস সচিবের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন ময়ূখ। সবাই কৌতূহলী ছিল, তিনি কতটা উচ্চস্বরে কথা বলবেন বা অস্বাভাবিক আচরণ করবেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে সেদিন ময়ূখকে বেশ শান্ত দেখা যায়।
তিনি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রির প্রসঙ্গ তোলেন, ঢাকার রেস্তোরাঁয় গরুর মাংস রাখা নিয়ে প্রশ্ন করেন, এমনকি ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি পাওয়া নিয়েও আলোচনা করেন।
সেন্টমার্টিন আসলেই বিক্রি করা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে সরাসরি জানতে চাইলে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন এবং সেখানে আপাতত পর্যটক যাওয়া বন্ধ রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
এই টকশোকে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন ময়ূখ রঞ্জন। আলোচনায় উঠে আসে চিন্ময় কৃষ্ণ ইস্যুও। শেখ হাসিনাকে নিয়ে শফিকুল আলমের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়েও কথা হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে “পার্সন অব দ্য ইয়ার” বলা হয়েছিল বলে দাবি করেন ময়ূখ।
ময়ূখ আরও দাবি করেন, শুধু তাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঁচজন লোক স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে, যারা লক্ষ্য করেন তিনি কীভাবে হাত নাড়েন, হাঁটেন বা দৌড়ান। জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম, বিশেষ করে রিপাবলিক বাংলা, বাংলাদেশ সম্পর্কে নিয়মিতভাবে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা সরেজমিনে দেখতে ময়ূখকে আমন্ত্রণ জানান শফিকুল আলম। জবাবে ময়ূখ বলেন, তিনি বাংলাদেশে আসবেন, কাচ্চি, পায়েস ও ফিরনি খাবেন এবং খেতে খেতে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেবেন।
Leave a Reply