রিলের ফাঁদে হারানো প্রজন্ম স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর সময় পায় না! কোভিডের লকডাউনে ১ ঘন্টা ভিডিও দেখলে তেমন কিছু আসতো যেত না আপনার, কারণ বাসার বাইরে তো আর সময় নষ্ট হচ্ছে না। কিন্তু এখন অফিসে বা পড়ালেখা করতে বের হলে ট্রাফিক জ্যামে বসে আপনার ২ ঘন্টা সময় যায় প্লাস বাসায় বসে আরো ২ ঘন্টা রিল দেখেন। নিজের উপরে টাইমটা কখন দিবেন আমাকে বলেন তো?
বুয়েটের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির নাম : শহীদ আবরার ফাহাদ লাইব্রেরি
আমি ২০২০ এ যে জেনারেশানটাকে ইউটিউব/ফেইসবুকে দেখেছি, তারা এখন আর সোশাল মিডিয়াতে নাই। চাকরি বাকরি, ঘর সংসার শুরু করেছেন অনেকে। সেদিনও একজন জানালেন, তিন বছর টানা আমার ভিডিও দেখেছেন, এখন ইতালিতে চাকরি করেন, গত দুই বছরে একটা ভিডিও দেখারও সময় হয় নাই। আমি খুবই খুশি যে উনি এখন নিজের কাজ করতে যেয়ে আমার ভিডিও দেখার সময় পান না।
আমি এখন রিল জমানার এই জেনারেশানকে নিয়ে খুবই চিন্তিত। এই জেনারেশান তাদের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চিত। বাংলাদেশে কালকে কী হবে কেউ জানে না। চাকরির বাজার কোন দিকে যাচ্ছে, কোন স্কিল ডেভেলপ করা লাগবে এই নিয়ে আলাপ খুবই কম হচ্ছে, কেউ মনোযোগ দিচ্ছে না। ঘটনা এমন, যেহেতু আমি জানি না আমার কী করা লাগবে, তাই হাতে যত সময় আছে সব নষ্ট করি। আর এই সময়গুলাই তারা নষ্ট করছে মোবাইলে রিল দেখে, কিংবা আলতু ফালতু ভিডিও দেখে, ফেসবুকে সময় দিয়ে। আর এখন তো লকডাউনও নাই, তাই অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও সময় নষ্ট করার সময়ের অভাব নাই। ঘন্টার পর ঘন্টা আপনার ট্রাফিক জ্যামেই নষ্ট হয়, দিনে হয়তো গড়ে একটা আজাইরা মিটিং করতে নষ্ট হয়। এত সময় নষ্টের পরে নিজের উপরে যে সময় দিবেন সেটা সম্ভব হয় না।
এমন চললে হঠাত একদিন দেখা যাবে, কাজের জন্য স্কিলওয়ালা লোক দেশে নাই। আর যেসব শিক্ষিত বেকার বের হবে এদের দিয়ে দেশের কোনো লাভ হবে না।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও বুয়েট শিক্ষক
Leave a Reply