মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে আগুন দিল কে? - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
সাকিব ঝড়ে প্রথম জয়ের আনন্দ মায়ামি ব্লেজের ইউরোপীয় তিন দেশকে হুমকি-চাপের পুরনো কৌশল ত্যাগের আহ্বান ইরানের এসএসসিতে ১২৩০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছে নাগেশ্বরীর তুশিন পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহারে একমত হামাস–ইসরায়েল প্রবল প্রতিবাদের মুখেও শেষপর্যন্ত ঢাকায় চালু হলো জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন অফিস চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা আয়োজিত জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ‘তুমি কে আমি কে, জঙ্গী জঙ্গী; কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচারের সঙ্গী’ স্লোগানে প্রকম্পিত বাইতুল মোকাররম জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতীকী ম্যারাথনে যুব উপদেষ্টার অঙ্গীকার বার্সেলোনায় ‘সবার জন্য কাগজ চাই’ দাবিতে অনিয়মিত অভিবাসীদের বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদ পিনাকীর আবেগঘন বার্তা – হাটহাজারীর ছাত্ররাই বিপ্লবের রক্ষক

মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে আগুন দিল কে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৭৯ বার দেখা হয়েছে
সেন্টমার্টিনে আগুন

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত তিনটি রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দ্বীপের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপা এলাকায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় শায়রী, বিচ ভ্যালি এবং কিংশুক রিসোর্ট সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। যদিও অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে রিসোর্টগুলোর ক্ষয়ক্ষতি বিপুল।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন যে, অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রপাতির অভাবে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি, যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে গেছে। দ্বীপের বাসিন্দা নুর জানান, আগুন প্রথমে বিচ ভ্যালি রিসোর্টে লাগে এবং দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিংশুক রিসোর্টের মালিক জানিয়েছেন যে, পার্শ্ববর্তী একটি রিসোর্টের বালিয়াড়িতে ময়লা পোড়ানো হচ্ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্বীপের আরেক বাসিন্দা জমির জানান, দ্বীপে কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় স্থানীয়দেরই প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হয়।

এই ঘটনাটি সেন্টমার্টিনে পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় অগ্নি-নির্বাপণের উন্নত ব্যবস্থার অভাব স্পষ্ট করেছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, স্থানীয়রা ও ব্যবসায়ী নেতারা দ্রুত একটি ফায়ার স্টেশন প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়। তারা সরকারের কাছে পর্যটন এলাকায় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমন অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বীপের অবকাঠামোগত উন্নয়নও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT