নোটিশ:
শিরোনামঃ
সীমান্তে উত্তেজনা: আখাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আহত ভারতের গৃহীত সিদ্ধান্তের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের বেরোবিতে অনুষ্ঠিত হলো গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা আধুনিক কৃষি: টেকসই কৃষি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ সালাতুল ইস্তিসকার আয়োজন করলে চাপ আসত ভারত থেকে যেকোনো মুহূর্তে ভারতের হামলার আশঙ্কা, প্রস্তুত পাকিস্তান দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, বন্ধ জেরুজালেমের পথ মৃত্যুর মুখে শৈশবের শিক্ষা: ‘কালেমা’ পাঠে বাঁচলেন অধ্যাপক ও পরিবার নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসি, কারো দিকে তাকিয়ে নয়: সিইসি ঐক্যের পথে শীর্ষ ইসলামী দলগুলো

মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে আগুন দিল কে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১১২ বার দেখা হয়েছে
সেন্টমার্টিনে আগুন

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত তিনটি রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দ্বীপের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপা এলাকায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় শায়রী, বিচ ভ্যালি এবং কিংশুক রিসোর্ট সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। যদিও অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে রিসোর্টগুলোর ক্ষয়ক্ষতি বিপুল।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন যে, অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রপাতির অভাবে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি, যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে গেছে। দ্বীপের বাসিন্দা নুর জানান, আগুন প্রথমে বিচ ভ্যালি রিসোর্টে লাগে এবং দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিংশুক রিসোর্টের মালিক জানিয়েছেন যে, পার্শ্ববর্তী একটি রিসোর্টের বালিয়াড়িতে ময়লা পোড়ানো হচ্ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্বীপের আরেক বাসিন্দা জমির জানান, দ্বীপে কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় স্থানীয়দেরই প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হয়।

এই ঘটনাটি সেন্টমার্টিনে পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় অগ্নি-নির্বাপণের উন্নত ব্যবস্থার অভাব স্পষ্ট করেছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, স্থানীয়রা ও ব্যবসায়ী নেতারা দ্রুত একটি ফায়ার স্টেশন প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়। তারা সরকারের কাছে পর্যটন এলাকায় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমন অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বীপের অবকাঠামোগত উন্নয়নও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT