বাংলাদেশের পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে। একটি মহল তুচ্ছ বিষয় বা অযৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অন্তত দেড় শতাধিক ট্রেড ইউনিয়ন এই অসন্তোষ উসকে দিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
ঢাকার আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় এসব ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমকে শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। তাদের অভিযোগ, সরকারের নমনীয় নীতির কারণে নিবন্ধনহীন শ্রমিক সংগঠনগুলো অর্থ পাচ্ছে কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে।
পাঁচ মাসে ১৭০ কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে ১৭০টি কারখানায় পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, যার মধ্যে ৩৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়েছেন প্রায় ৩১ হাজার শ্রমিক।
দাবিগুলোর প্রকৃতি
শ্রমিকদের দাবিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তুচ্ছ বা অযৌক্তিক, যেমন পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের সমান ভাগ করা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার ও প্রোডাকশন ম্যানেজারকে সরানো ইত্যাদি। এসব দাবির মাধ্যমে আন্দোলন উসকে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এই অস্থিরতার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। এমনকি জেলখানায় আটক কিছু আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রভাবশালী ব্যক্তি কারাগার থেকেই শ্রমিক আন্দোলনের পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অস্থিরতার সুযোগে ভারতের লাভ
বাংলাদেশের পোশাক খাতের এই অস্থিরতায় ভারতের পোশাক উৎপাদকরা বাড়তি কার্যাদেশ পাচ্ছেন। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের কিছু কোম্পানি ইতিমধ্যেই এই পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্ডার পেয়েছে।
শ্রমিক অসন্তোষ ও শিল্পে অস্থিরতার এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd
Leave a Reply