বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, রমজান সামনে রেখে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সরকারের কাছে এমন কোনো আলাদিনের চেরাগ নেই, যা দিয়ে রাতারাতি বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের সঙ্গে বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, চালের মজুতে ঘাটতি নেই। তবে প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে বাজারে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তা সামাল দিতে আমদানির প্রক্রিয়া আরও উদার করা হয়েছে। কেউ যদি অন্যায়ভাবে চাল মজুত করে থাকেন, আমদানি বাড়লে তারা চাল ছাড়তে বাধ্য হবেন, ফলে বাজার স্বাভাবিক হবে।
মানুষের কষ্ট এবং বাজার থেকে বড় অঙ্কের টাকা উঠে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সত্যি যে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তবে এটি সাময়িক সমস্যা। কোনো জাদুকাঠি নেই যে তাৎক্ষণিকভাবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
এছাড়া, তিনি জানান, তুরস্ক বাংলাদেশের অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সামরিক বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠনের মাধ্যমে বাণিজ্য সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে নিয়মিত বাজার তদারকি করছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোক্তাদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামা ও জ্বালানির দামের কারণে কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে সরকারের কার্যকরী নীতির ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এদিকে, তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে পণ্য রফতানি ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে তুরস্কের বিনিয়োগ ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Leave a Reply