
স্কির ভাষ্য অনুযায়ী, সংশোধিত পরিকল্পনাটি এখন আগের তুলনায় বাস্তবসম্মত এবং এতে ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পরই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে সমন্বিত ও ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যে খসড়া শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করেছিল, তা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় পরিকল্পনাটি পরবর্তীতে সংশোধন করা হয়। তবে রাশিয়া সংশোধিত প্রস্তাবকে ‘অগঠনমূলক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নিচ্ছে না এবং যুদ্ধের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও মন্তব্য করেছেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর শান্তি পরিকল্পনায় পৌঁছানো সম্ভব বলে তিনি আশাবাদী।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফাঁস হওয়া ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনাটি এখন ১৯ দফায় সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে সংবেদনশীল রাজনৈতিক বিষয়গুলো—বিশেষ করে ভূখণ্ড–সংক্রান্ত প্রশ্ন—রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে। ইউক্রেনের অবস্থান স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে, রাশিয়ার দখল করা কোনো অঞ্চলকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি পৃথকভাবে নিজেদের খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। এসব প্রস্তাবে রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে স্বীকৃতি না দেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে ন্যাটো সদস্যপদের সুযোগ উন্মুক্ত রাখার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাশিয়া তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। মস্কোর দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনকে দনবাস অঞ্চল ত্যাগ করতে হবে এবং ক্রিমিয়া, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে রুশ নিয়ন্ত্রণ মেনে নিতে হবে।