অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের নতুন কঠোর পরিকল্পনা: স্থায়ী বসবাস পেতে লাগতে পারে ৩০ বছর - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
বাংলাদেশের ৫৫তম বিজয় দিবস উপলক্ষে হাউস অব লর্ডসে ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই-কে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত রাজবাড়ীতে বসতবাড়ীতে নারকীয় তান্ডব হামলা-ভাংচুর ফসল-স্বর্ণালংকার ও সর্বস্ব লুট রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলায়, সেনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন বিদেশে কর্মী পাঠাতে দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র আজ দুপুর থেকে বন্ধ ঘোষণা কুবিতে বিজয় দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই দফায় বাকবিতণ্ডা আনন্দবাজারের দাবি: ঢাকায় আলফা (স্বাধীন) প্রধান পরেশ বরুয়া বিজয়ের রঙে সেজেছে শেকৃবি শেকৃবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক হওয়া, বুটেক্স শিক্ষকদের সাফল্যের গল্প

অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের নতুন কঠোর পরিকল্পনা: স্থায়ী বসবাস পেতে লাগতে পারে ৩০ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২২ বার দেখা হয়েছে

অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার নতুন এক কঠোর অভিবাসন পরিকল্পনা উত্থাপন করেছে। সরকারের দাবি, এই নীতির মাধ্যমে বিদেশিদের ওপর রাষ্ট্রের আর্থিক চাপ কমানো এবং কল্যাণভাতা ব্যবস্থার অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে।

📌 বর্তমান নিয়ম কী?

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে কোনো অভিবাসী পাঁচ বছর আইনগতভাবে বসবাস করার পর ‘সেটেলড স্ট্যাটাস’ বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন। এই স্ট্যাটাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা ও কল্যাণভাতা দাবি করার অধিকার অর্জন করেন।

📌 প্রস্তাবিত নতুন নিয়ম

নতুন পরিকল্পনার আওতায় এই সময়সীমা নাটকীয়ভাবে বেড়ে ৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ, অভিবাসীদের তিন দশক যুক্তরাজ্যে বসবাস ও কাজ করার পরই স্থায়ী বসবাসের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

এছাড়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শাবানা মাহমুদের ঘোষিত প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘সেটেলড স্ট্যাটাস’ পেলেও অভিবাসীরা সঙ্গে সঙ্গে কল্যাণভাতা পাবেন না। বরং তাঁদের আগে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে।

📌 নাগরিকত্ব পেতে আরও সময়

যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেতে সাধারণত এক থেকে তিন বছর সময় লাগে। ফলে নতুন নীতির অধীনে কল্যাণভাতা পাওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটি আরও দীর্ঘ ও জটিল হয়ে পড়বে।

📌 সরকারের যুক্তি

সরকারের মতে, সামাজিক সুবিধার সহজলভ্যতাই অনেক সময় অবৈধ অভিবাসনের অন্যতম প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে। তাই কল্যাণভাতার পথ কঠোর করলে অবৈধ অভিবাসন প্রবাহ কমবে এবং সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

⚠️ সমালোচনা ও উদ্বেগ

তবে মানবাধিকার সংস্থা, অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছে। তাঁদের মতে, দীর্ঘদিন কর প্রদান ও শ্রমবাজারে অবদান রাখা অভিবাসীদের জন্য ৩০ বছর অপেক্ষার শর্ত অমানবিক ও বৈষম্যমূলক।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এ ধরনের নীতি অভিবাসী পরিবারগুলোর স্থায়িত্ব নষ্ট করবে এবং এর প্রভাব পড়বে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার ওপর।

🔍 সামনে কী হতে পারে?

যদিও প্রস্তাবিত নীতিটি এখনো পর্যালোচনা ও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে, তবুও এটি বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়তে পারে দেশটির অর্থনীতি, শ্রমবাজার এবং বহুসংস্কৃতির সমাজব্যবস্থার ওপর।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT