বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান ঘোষণা দিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি যেই কণ্ঠনালীর হেটেরোটোপিয়া রোগে ভুগছেন। গতকাল অস্ট্রেলিয়ায় এক কনসার্টে তিনি বলেছিলেন, এটি তার শেষ কনসার্ট এবং ধীরে ধীরে তিনি তার সংগীত ক্যারিয়ার গুটিয়ে দেবেন। তবে কেন ঠিক এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা তিনি স্পষ্টভাবে বলেননি। অনেকে মনে করছেন তাহসান ধর্মীয় কারণে গান ছেড়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে তিনি জানিয়েছিলেন, হেটেরোটোপিয়া রোগের ফলে তার গলায় ব্যথা, গান গাইতে কষ্ট এবং কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে।
তাহসানের এই রোগের প্রথম লক্ষণ দেখা দেয় ২০১৮ সালে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরও তিনি সুস্থ হতে পারেননি। ২০২৪ সালে সংবাদমাধ্যমে নিজের অবস্থার কথা প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি রোগের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবেন। তবে বছরের পর বছর চিকিৎসার পরও হেটেরোটোপিয়ার কারণে তার গান গাওয়ার ক্ষমতা অনেকাংশে কমে গেছে। পূর্বে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, কখনো কখনো গলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বা গান গাইতে কষ্ট হওয়ায় তাকে সমস্যায় পড়তে হয়।
হেটেরোটোপিয়া একটি বিরল রোগ, যার ফলে শরীরের কোনো অংশে অন্য অংশের কোষ বা টিস্যু অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। রোগের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। এর লক্ষণগুলো রোগের অবস্থান ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। বিশেষ কোনো নিরাময় নেই, তবে লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসা সম্ভব।
তাহসান খানের এই ঘোষণা তার দীর্ঘদিনের সংগ্রামের প্রতিফলন। ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সুস্থতা কামনা করেছেন এবং তার সংগীত জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ২৫ বছরের সংগীত ক্যারিয়ারে অবদান রাখা এই শিল্পীর জন্য এখন ভক্তদের আশীর্বাদ ও সমর্থনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সংস্কৃতিমনা দাবীদার অনেকে তার এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।
বেশ ক’জন ইসলামী ব্যক্তিত্ব তাহসানের গান ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে হেদায়েত প্রার্থনা করেছেন।