সরকারি নগদ প্রণোদনায় এবার সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরিরও সুযোগ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট ঢাবির আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের তিন বছরের ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান ঢাবি নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান শেকৃবি কৃষিবিদদের ৩ দফা দাবি নিয়ে আগারগাঁও ব্লকেড মাথার পেছনে গুলির চিহ্ন, রক্তে ভেসে থাকা বুক: ট্রাইব্যুনালে বাবার সাক্ষ্য তিন দফা দাবিতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন, পরীক্ষা স্থগিত গ্রিনল্যান্ডকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-ডেনমার্কে নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনা স্পেনে বুনোলে ৮০তম টোমাটিনা উৎসব, ১২০ টন টমেটো ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠলেন ২২ হাজার মানুষ শেরপুরে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন ও জলবায়ু অভিযোজন প্রযুক্তি নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সরকারি নগদ প্রণোদনায় এবার সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরিরও সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৩ বার দেখা হয়েছে
oppo_2

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের তৈরি পোশাক খাতে সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরি ব্যবহারকারী রপ্তানিকারকদেরও বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে এই সুবিধা কেবল নিজের কারখানায় উৎপাদনকারী রপ্তানিকারকদের জন্যই প্রযোজ্য ছিল। নতুন উদ্যোগের ফলে সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরিগুলোও ০.৩ শতাংশ হারে প্রণোদনার অংশ পাবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড—তৈরি পোশাক শিল্প আরও শক্তিশালী হবে। বিশেষ করে মার্কিন বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের তুলনায় কম শুল্ক সুবিধা থাকার কারণে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের অর্ডার গ্রহণের সক্ষমতা আরও বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজস্ব পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ২০ শতাংশে নামাতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে ভারতের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ এবং চীনের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ। শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সুবিধাজনক এই হার মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যাদেশ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগে রপ্তানিকারকদের প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি হা-মীম গ্রুপের আবেদন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষে নেওয়া হয়েছে। যদিও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবনার সার-সংক্ষেপ অর্থ উপদেষ্টার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে, তবে ব্যবসায়ী নেতারা আশা করছেন, সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরিরা পরোক্ষভাবে এই সুবিধা ভোগ করবে।

এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান টিবিএসকে বলেন, “রপ্তানিকারকরা সাব-কন্ট্রাক্ট করা কোম্পানিগুলোকে প্রণোদনার অংশ দিতে পারবেন। আন্তর্জাতিক বায়ারদের কাছ থেকে বাড়তি মূল্য আদায় করতে এ সুবিধা কাজে লাগানো সম্ভব।” বিজিএমইএ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রায় ১০ শতাংশই সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরির মাধ্যমে হয় এবং নতুন উদ্যোগের ফলে এই অংশ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান টিবিএসকে বলেন, “সাব-কন্ট্রাক্ট কোম্পানিগুলো সরাসরি এক্সপোর্ট না করায় তাদেরকে সরাসরি প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব ছিল না। অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের জন্য প্রণোদনা চালু করলে খাতের ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হবে।”

শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারের উদ্যোগ ছোট কারখানাগুলো টিকে থাকতে সহায়তা করবে এবং দেশে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে অবদান রাখবে। সাব-কন্ট্রাক্ট ব্যবস্থার কারণে আগে অনেক ছোট কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নতুন প্রণোদনা কাঠামোতে রপ্তানিকারকরা প্রণোদনার অংশ শ্রমিকদের মজুরি বা অন্যান্য সুবিধা দিতে ব্যবহার করতে পারবে, যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে।

বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান বাবু জানিয়েছিলেন, চলতি অর্থবছরে প্রণোদনার হার বাড়ানোর জন্য তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাত মোট ৫,৬৯৬ কোটি টাকা প্রণোদনা পেয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিল সময়ে পোশাক রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৪০.২০ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় ৯.৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

শিল্প নেতারা আশাবাদী, নতুন উদ্যোগের ফলে সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরিগুলো শক্তিশালী হবে, রপ্তানিকারকরা আন্তর্জাতিক অর্ডার গ্রহণে আরও সক্ষম হবে এবং দেশের তৈরি পোশাক খাতের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা আরও দৃঢ় হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT