রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃঅনুষদ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ও মৌসুমী ফলের উৎসব।
আজ ( সোমবার) ৩০ জুন বেলা ৩ টা থেকে শেকৃবির কেন্দ্রীয় মাঠে কৃষি অনুষদ ও কৃষি অর্থনীতি অনুষদের মাঝে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও মৌসুমি ফলের উৎসব আয়োজন করা হয়। টুর্নামেন্টে কৃষি অর্থনীতি অনুষদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কৃষি অনুষদ।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে কৃষি অর্থনীতি অনুষদ। নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ১৬৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কৃষি অনুষদ চার বল ও তিন উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে।
দারুণ পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন কৃষি অনুষদের মিথুন বিশ্বাস। পুরো টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক কৃতিত্ব দেখিয়ে ‘ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট’-এর স্বীকৃতি পান একই অনুষদের শাহরিয়ার মোস্তাকিম।
অন্যদিকে ফাইনাল ম্যাচের আমেজে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে শেরেবাংলা স্পোর্টস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত হয় মৌসুমি ফল উৎসব। রংপুর স্টিলের গ্রুপের সৌজন্যে আয়োজিত এ আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয় হাড়িভাঙ্গা আম, কাঁঠাল ও লটকন জাতীয় মৌসুমি ফল। শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয় প্রায় ১১০০ কেজি আম।
টুর্নামেন্টটিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড.আব্দুল লতিফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষ এবং ছাত্র- পরামর্শক ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
এই বিষয়ে শেরেবাংলা স্পোর্টস ক্লাবের সদস্য ও আন্ত:অনুষদ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন টুর্নামেন্ট আয়োজক শাহরিয়া মোস্তাকিম বিল্লা বলেন, ক্যাম্পাসে ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন টুর্নামেন্ট আয়োজন ও অন্য দিকে মৌসুমে ফলের উৎসব এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে উৎসবমুখর করার চেষ্টা করেছি, যাতে করে ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষার্থী,শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের সদস্যবৃন্দ নিয়ে একই সাথে ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন টুর্নামেন্টটি উপভোগ করতে ও মৌসুমী ফলের উৎসবটি পালন করতে পারি। এমন উৎসব ৫ আগষ্টের আগে কখনো দেখি নাই।
তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পাসের সকল রাজনৈতিক দলকে এই মৌসুমী ফলের উৎসবে ও টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ করেছি। এই উৎসব যেন সবার মিলনমেলা হয়, সেটার প্রচেষ্টায় চালিয়েছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ বিজয়ী এবং বিজিত উভয় দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি মননের বিকাশের জন্য খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং সে লক্ষ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি খেলাধুলার আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন ।