শেকৃবিতে উন্মোচন হলো দেশের প্রথম প্যাকেটজাত “SAU Seaweed Soup” - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট ঢাবির আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের তিন বছরের ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান ঢাবি নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান শেকৃবি কৃষিবিদদের ৩ দফা দাবি নিয়ে আগারগাঁও ব্লকেড মাথার পেছনে গুলির চিহ্ন, রক্তে ভেসে থাকা বুক: ট্রাইব্যুনালে বাবার সাক্ষ্য তিন দফা দাবিতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন, পরীক্ষা স্থগিত গ্রিনল্যান্ডকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-ডেনমার্কে নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনা স্পেনে বুনোলে ৮০তম টোমাটিনা উৎসব, ১২০ টন টমেটো ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠলেন ২২ হাজার মানুষ শেরপুরে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন ও জলবায়ু অভিযোজন প্রযুক্তি নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শেকৃবিতে উন্মোচন হলো দেশের প্রথম প্যাকেটজাত “SAU Seaweed Soup”

শেকৃবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৩ বার দেখা হয়েছে
পুষ্টিগুণে ভরপুর সমুদ্রের উপহার, প্রাথমিকভাবে ১ জনের, ২ জনের, ৪ জনের ও ৬ জনের প্যাকেটে বাজারজাত করার প্রস্তুতি চলছে।

 শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অ্যাকোয়াকালচার বিভাগ দেশের প্রথমবারের মতো বাজারে এনেছে প্যাকেটজাত “SAU Seaweed Soup”। সমুদ্রজাত সি-উইড বা সামুদ্রিক শৈবাল থেকে তৈরি এই স্যুপ কেবল সুস্বাদুই নয়, বরং মানবদেহের জন্য অসাধারণ পুষ্টির উৎস।

সমুদ্র থেকে টেবিলে

সমুদ্রের লোনা পানিতে জন্মানো জলজ উদ্ভিদ সিউইড (macro-algae) বিশ্বব্যাপী একটি অমূল্য সম্পদ হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ২৬ মিলিয়ন টন সিউইড চাষ করা হয়। বাংলাদেশেও সমুদ্রতটের প্রায় ১০% এলাকা সিউইড চাষের জন্য উপযোগী, যা থেকে বছরে প্রায় ৪০০ টন সিউইড উৎপাদন করার হয় এবং এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ৮৭৮ কোটি টাকা (FAO, ২০২২-২৩) হিসেবে অনুমান করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, ওষুধ, কসমেটিকস ও শিল্পক্ষেত্রে এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশেও সি-উইড চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শেকৃবি গবেষকরা Gracilaria, Ulva ও Hypnea প্রজাতির সি-উইড ব্যবহার করে উদ্ভাবন করেছেন SAU Seaweed Soup।

এক প্যাকেটে পুষ্টির ভাণ্ডার

মানবদেহের জন্য উপকারী এই স্যুপের প্রতিটি ১২.৫ গ্রামের প্যাকেটে রয়েছে ২.৫ গ্রাম সি-উইড। আশ্চর্যের বিষয় হলো—এই সাড়ে ১২ গ্রাম স্যুপেই প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ১০ গ্রাম।

এর পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান—যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর।

ভোক্তার আস্থায় প্রযুক্তি

প্রতিটি প্যাকেটের সাথে যুক্ত করা হয়েছে QR কোড, যা স্ক্যান করলে ভোক্তারা উৎপাদন প্রক্রিয়া, পুষ্টিমান ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। একইসাথে e-traceability সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে ভোক্তারা প্যাকেটের QR কোড স্ক্যান করে প্রোডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া, পুষ্টিমান ও ক্যালোরি সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবেন।

 বিশেষজ্ঞদের মতামত

অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মুখ্য গবেষক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন,

সি-উইড প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমাদের উদ্ভাবিত ‘SAU Seaweed Soup’ স্বাস্থ্যকর খাদ্যের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।”

শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন। ভবিষ্যতে এর বাণিজ্যিকীকরণ হলে দেশের পুষ্টি নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”

ইনফো বক্স: SAU Seaweed Soup

প্যাকেটের ওজন: ১২.৫ গ্রাম

সি-উইডের পরিমাণ: ২.৫ গ্রাম

প্রোটিন: প্রায় ১০ গ্রাম

উদ্ভাবন: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)

প্রযুক্তি: QR কোড যুক্ত e-traceability system

বাজারজাতকরণ পরিকল্পনা

প্রাথমিকভাবে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান “ড্রিম ফুড” এর সাথে চুক্তি করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বড় কোম্পানির সাথে যৌথভাবে বাজারজাতকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT